নর্ডএফএক্স-এ সবচেয়ে সফল ট্রেডারদের মধ্যে সোনা হল ট্রেডিং-এর প্রিয় মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ ব্যাপারে সহজেই নিশ্চিত হওয়া যায় এই ব্রোকারেজ কোম্পানির প্রকাশিত মাসিক রেঙ্কিং দেখলেই। সেই জন্যই শুধুমাত্র সোনা/মার্কিন ডলার জুটির উপর আলোকপাত করে বিশেষ পর্যালোচনা প্রদান করা যেতেই পারে।
সোনা কি সত্যিই একটি নিরাপদ সম্পত্তি?
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বে প্রথম সারির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো মূল্যস্ফীতি থামানোর চেষ্টা করে যাওয়ার মধ্যে মূল্যবান এই ধাতুর দাম ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে, 4 মে তারিখে এর দাম হয়েছে ট্রয় আউন্স প্রতি 2,080 ডলার। বাজারের লেনদেনে অংশগ্রহণকারীরা সোনা কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছেন, তাঁদের মনে হচ্ছে সোনা কিলনে তাঁদের পুঁজিকে অবমূল্যায়নের হাত থেকে বাঁচানো যাবে।
ব্লুমবার্গ-এর একটি সমীক্ষা বলছে, প্রায় 50 শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন সোনা হল তাঁদের প্রধান সুরক্ষিত সম্পদ (মাত্র 15 শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ড)। অবশ্য, সোনা কি সত্যিই মূল্য সংক্রান্ত ঝুঁকি সামলানোর খুব কার্যকরী সম্পদ, না কি এটা শুধুই বহুল প্রচলিত একটা ভ্রান্ত ধারণা মাত্র?
যেমন ধরা যাক, 2022-এর মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সোনার দাম 2,070 ডলার থেকে কমে 1,616 ডলার হয়ে গিয়েছিল, এই পতনের হার ছিল প্রায় 22 শতাংশ। ওই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি 40 বছরের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছনোর পরেও সোনার দামে ওই পতন লক্ষ করা গিয়েছিল। তাহলে সোনাকে কী ভাবে নিরাপদ সম্পদ বলা যেতে পারে?
সোনার মূল্যে বৃদ্ধি
আমরা যদি কুড়ি শতকের শুরু থেকে সোনার দামের গতিবিধি লক্ষ করি, তাহলে নীচের এই ধরন দেখতে পাই। 1900 সালে মূল্যবান এই ধাতুর দাম ছিল ট্রয় আউন্স প্রতি প্রায় 20 ডলার।
1914 থেকে 1918 পর্যন্ত, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরেই, এর দাম বেড়ে হয়েছিল প্রায় 35 ডলার। তার পর, 1930-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেট ডিপ্রেশনের সময় এবং মুদ্রা সংস্কারের ফলে সোনার দাম স্থির করা হয়েছিল ট্রয় আউন্স প্রতি 35 ডলার। গোটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রেটন উডস সিস্টেমের অধীনে এই সম্পদের মূল্য স্থির ছিল এবং এর দাম নির্ধারিত ছিল 35 ডলারে, ঠিক যেমনটা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়।
1971 সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোনার মানদণ্ড ত্যাগ করল, তার ফলে মুদ্রা বিনিময় মূল্যে স্থায়িত্ব থাকল না এবং সোনার দাম বেড়ে গেল। 1970-এর দশকের শেষ দিকে এবং 1980-র দশকের শুরুতে ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েন, মূল্যস্ফীতি, ও সোনার উৎপাদন হ্রাস হওয়ার ফলে সোনার দাম ট্রয় আউন্স প্রতি 800 ডলারের সীমা পার করে গেল। 1980 থেকে 2000 পর্যন্ত সোনার দাম পড়ে গেল এবং ওঠা-নামা করতে থাকল প্রায় 250 ডলার ও 500 ডলারের মধ্যে।
2000-এর শুরু থেকে সোনার দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়তে থাকল ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা, আর্থিক অস্থিরতা, ও মূল্যস্ফীতির চাপের জন্য। 2020-র অগস্টে কোভিড-19 অতিমারি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সোনার দাম প্রথম বার ট্রয় আউন্স প্রতি 2,000 ডলারের সীমা পার করে গেল। অবশ্য, এমন চূড়ায় ওঠার পরেও সোনার দাম ফের পড়তে শুরু করল অর্থনীতির পুরুদ্ধারের আশায়, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি আর্থিক নীতি আঁটোসাঁটো করার জন্য, সুদের হার বাড়ানোর জন্য, এবং অন্যান্য নানা কারণে।
এরপর 2022-এর মার্চে 2,000 ডলারের রেজিস্টেন্স লেভেল ভেঙে আরও উপরে যাওয়ার ব্যর্থ প্রয়াস হল। অবশেষে, তৃতীয় উত্থান লক্ষ করা গেল এ বছর মে মাসে।
সোনার দাম কেন বাড়ছে
তাহলে, সোনার মূ্ল্যমানে কীসের অবদান থাকে, এবং এর দাম বাড়ে কেন?
- বিরল ও সীমিত জোগান: সোনা হল একটি বিরল ধাতু, এবং এটা সীমিত পরিমাণে তোলা হয় এবং এই কাজে অনেক কষ্ট হয় এবং নানা সংস্থানের প্রয়োজন হয়।
- টেকসই ও স্থায়িত্ব: সোনা সহজে ক্ষয়ে যায় না ও নষ্ট হয় না। এই ধাতু বহু দিন ধরে নিজের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলোকে অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে, তাই এটিকে দীর্ঘ দিন ধরে মজুত করে রাখা যায়, সেই সঙ্গে এটিকে গয়না তৈরিতে এবং নানা শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় আকর্ষণীয় ভাবে।
- মজুত করে রাখার যোগ্য: সোনাকে দীর্ঘ দিন ধরে মজুত করে রাখার যোগ্য বলে মনে করে আসা হচ্ছে। এই ধাতু দীর্ঘায়িত সময় পর্যন্ত নিজের ক্রয় ক্ষমতাকে ধরে রাখতে পারে। এই ধাতু হাতে থাকলে মূল্যস্ফীতি এবং স্টক ও মুদ্রার অস্থায়িত্বর সময় কাজে লাগানো যায়।
- সহজে গ্রহণযোগ্য ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত: সোনা হল সারা বিশ্ব ব্যাপী স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য একটি সম্পদ। এর বিনিময়ে সহজে নগদ পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতিতে এটিকে মূল্য পরিশোধের মাধ্যম হিসাবেও ব্যবহার করা হয়।
এই সব কারণেই সোনার প্রতি আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা বাড়ে, সেই জন্যই এর দামও বাড়তে থাকে।
যেসব কারণের প্রভাবে সোনার দাম বাড়ে
কোন-কোন কারণের প্রভাবে সোনার দাম বাড়ে তা এবার দেখে নেওয়া যাক। উল্লেখযোগ্য, সোনার দাম ও আলাদা-আলাদা করে নিম্নলিখিত কারণগুলির মধ্যে প্রত্যক্ষ কোনও সম্পর্ক নেই। বাজার সম্পর্কিত পূর্বাভাস ও একাধিক কারণ একসঙ্গে মিলে সোনার দামের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন, সোনা/মার্কিন ডলারে সাম্প্রতিক উত্থানের কারণ হতে পারে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধির চক্রে কিছু পরিবর্তন হওয়ার আশা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার আশঙ্কা, সেই সঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের ফলে ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এবার মূল কারণগুলি দেখে নেওয়া যাক:
- অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: GDP বৃদ্ধি বা পতন, বেকারত্ব, সামগ্রিক ভাবে আর্থিক স্থায়িত্ব সহ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সোনার দামে প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, বাজারে অনিশ্চয়তা বা মন্দার জন্য সোনার চাহিদা বেড়ে যেতে পারে ঝুঁকি-শূন্য সম্পদ হিসাবে।
- ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলি: রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলি যেমন সশস্ত্র সংঘাত, যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, নির্বাচন ইত্যাদির জন্য বাজারে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা দেখে যেতে পারে, তার ফলে সোনার চাহিদা বেড়ে যেতে পারে সুরক্ষিত সম্পদ হিসাবে।
- মূল্যস্ফীতি: সোনার মূল্যমান নির্ধারণে মূল্যস্ফীতির স্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকলে সোনার দামও সাধারণত বাড়তে থাকে, কেননা বিনিয়োগকারীরা নিজের অর্থকে অবমূল্যায়নের হাত থেকে বাঁচাতে সোনার দিকে ঝুঁকতে থাকেন।
- কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক: সুদের হার পরিবর্তন করা সহ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তার প্রভাবও সোনার দামে পড়তে পারে। যেমন, সুদের হার করমলে সোনার চাহিদা বেড়ে যেতে পারে, কেননা তখন অন্যান্য সম্পদ রাখার চেয়ে তুলনামূলক ভাবে সোনা রাখা বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
- মুদ্রার গতিবিধি: একেক দেশের মুদ্রা বিনিময় মূল্য ওঠা-নামা করার প্রভাব সোনার দামে পড়তে পারে। সোনা উৎপাদক দেশের মুদ্রা যদি অন্যান্য দেশের তুলনায় কমে যায়, তাহলে সেই দেশে সোনার দাম বেড়ে যেতে পারে, সেই দেশ বেশি করে সোনা রফতানি করবে এবং সোনার চাহিদা বাড়বে।
- বিনিয়োগের চাহিদা: বিনিয়োগের চাহিদার মধ্যে রয়েছে সোনার বাট, মুদ্রা কেনা এবং ভবিষ্যতে বাজারে লেনদেনে এর ব্যবহার। কাগজের টাকার উপর আস্থা কমে গেলেই সাধারণত সোনার চাহিদা বাড়ে।
- সোনার দাম অনুমান করার সময় এই কারণগুলির পারস্পরিক ভূমিকা এবং বাজারের প্রত্যাশাকে বিবেচনা করা দেখা দরকার।
পূর্বাভাস: সোনার দাম কি বাড়বে?
পূর্বাভাসের কথা যখন ওঠে, তখন মনে রাখা দরকার যে এগুলো হল উপলব্ধ তথ্য ও বিশ্লেষণ ভিত্তিক কিছু অনুমান মাত্র। আগেই বলা হয়েছে, সোনার বাজার হল জটিল এবং সেখানে নানা কারণের প্রভাব থাকে। যে-কোনও পূর্বাভাসই হল কিছু অনুমান মাত্র এবং এসব বদলে যেতে পারে অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে, এবং সেই সঙ্গে বাজারের চাহিদা ও জোগানে কোনও পরিবর্তন হলে। অবশ্য, এ কথাও মানতে হবে যে কিছু-কিছু পূর্বাভাস অপেক্ষাকৃত ভাবে সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
2021-এর সেপ্টেম্বরের আগে এমনই কিছু পূর্বাভাস করা হয়েছিল, সেগুলির কিছু দৃষ্টান্ত এখানে দেওয়া হল। গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর বিশ্লেষকরা অনুমান করেছিলেন যে সোনার দাম 2024-এর মধ্যে ট্রয় আউন্স প্রতি 2,000 ডলারে পৌঁছে যাবে। দু’মাস পর, ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার বিশ্লেষকরাও একই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। সোনার দাম রেজিস্টেন্স লেভেল ছুঁয়ে ফেলেছিল এক বছর আগেই। অবশ্য, সোনা/মার্কিন ডলার এই লেভেলের উপর স্থায়ী ভাবে নিজেকে কি প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে, নিজেকে কি রেজিস্টেন্স থেকে সাপোর্টের দিকে নিয়ে যেতে পারবে, সেটাই দেখার।
বর্তমানে গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর কৌশলীরা 2,000 ডলারের লক্ষ্যমাত্রার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এদিকে, সুইস ফাইন্যান্সিয়াল হোল্ডিং ইউবিএস মনে করে যে 2023-র শেষাশেষি সোনার দাম 2,100 ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং 2024-এর মার্চের মধ্যে দাম হতে পারে 2,200 ডলার। (উল্লেখ্য, তাদের পূর্ববর্তী পূর্বভাসে বলা হয়েছিল সোনার দাম এ বছর 2,400 ডলারের চূড়া ছুঁয়ে ফেলবে)। একই সংখ্যা উল্লেখ করেছেন ইকোনমিক ফোরকাস্টিং এজেন্সির বিশ্লেষকরাও। তাঁরা মনে করেন যে, সোনার দাম 2,400 ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু তা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কেবল 2027 সালে।
***
এই পর্যালোচনার শুরুতে আমরা একটা প্রশ্ন তুলেছিলাম যে সোনা আদৌ নিরাপদ সম্পদ কি না। ওয়ারেন বাফেট নিজের প্রথম দিককার মন্তব্যে সোনায় বিনিয়োগ করার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে, এটা হল অনুৎপাদক একটা সম্পদ, এর থেকে অর্থ উপার্জন হয় না। কিন্তু, তালিকার দিকে তাকালে স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি ভুল বলেছিলেন। এই কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী নিজে তা স্বীকার করেছিলেন এবং পরে সোনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে বলেছিলেন এই ধাতু মজুত করে রাখার যোগ্য। বিশিষ্ট অর্থ লগ্নিকারী জর্জ সোরোসও সোনাকে এই বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, এই সম্পদকে আলাদা করে সরিয়ে রাখা যায় মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় কাজে লাগানোর জন্য। বিনিয়োগ সংক্রান্ত ফার্ম ব্রিজওয়াটার অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিষ্ঠাতা রে ডালিওর পরামর্শ, এই মূল্যবান ধাতুকে নিজের কাছে রাখা উচিত।
তাঁরা প্রায় সবাই ঠিকই বলেছেন। এখন পর্যন্ত যা আঁচ পাওয়া যাচ্ছে তাতে বলা যায় যে, পুঁজিকে রক্ষা করে যাওয়ার প্রধান মাধ্যম হিসাবে সোনা তার ভূমিকা পালন করে যাবে। অবশ্য, একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে যে, যে-কোনও বিনিয়োগের কার্যকারিতা নির্ভর করে লেনদেনে প্রবেশের সময়ের উপর। লেনদেনেক সময় যদি ঠিক করে বেছে নেওয়া না-হয়, তাহলে আপনার সঞ্চিত অর্থ কমতে শুরু হতে পারে। যাই হোক না-কেন, সোনার ক্ষেত্রে বলা যায়, সোনা/মার্কিন ডলার ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা কাগজের টাকার চেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে অনেক বেশি। পতনের পরিস্থিতি সামলে অবশেষে লাভের মুখ দেখতে হলে টাকাপয়সা ভাল ভাবে সামলাতে জানতে হবে, সেই সঙ্গে সময় দিতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।
নর্ডএফএক্স অ্যানালিটিক্যাল গ্রুপ
বিজ্ঞপ্তি : এসব তথ্য আর্থিক বাজারে কাজের জন্য বিনিয়োগ বা পরামর্শ হিসেবে কোনো সুপারিশ নয় এবং এগুলি একমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যের জন্য। আর্থিক বাজারে ট্রেডিং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর ফলে ডিপোজিটকৃত ফান্ডের পরিপূর্ণ ক্ষতি হতে পারে।
ফিরে যান ফিরে যান