-নবর্বষ 2017 শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পূর্বে, সমস্ত অগ্রগণ্য ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ সংস্থার প্রতিনিধিদের মতামতের উপর ভিত্তি করে আমরা সমস্ত মুখ্য মুদ্রাজুড়িগুলির পূর্বাভাস প্রকাশ করছি।
-আদৌ কোন সন্দেহ নেই যে মুদ্রার সমস্ত ট্রেডাররা নিশ্চিতভাবে জানতে চাইবেন নব নির্বাচিত আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন হবার পরে ডলারের পদক্ষেপ কোন দিকে এগোবে। ভোটের ফলাফল ঘোষনার দিনে আমেরিকান মুদ্রা ইতিমধ্যেই আমাদের অবাক করেছিলঃ আমেরিকান ডলারের পতন যে বিষয়ে অনেকেরই আশঙ্কা ছিল তা মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য স্থিত হয়েছিল, তার পরে এই প্রবণতা বিপরীত দিকে গিয়েছিল এবং ডলার স্থিরভাবে উর্ধ্বগামী হয়ে উঠতে শুরু করেছিল। সুতরাং, আসন্ন বছরে আমাদের কি কোন নতুন বিস্ময় আশা করা উচিত?
-ডয়েস ব্যাংকের অ্যালান রাস্কিনের মতে, এই পরিস্থিতি 1983-84 সালে রাষ্ট্রপতি রোনান্ড রেগনের নির্বাচন পরবর্তী "তেজীভাব"-এর প্রাথমিক পর্যায়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। "ট্রাম্প অর্থনৈতিক কার্যকলাপের উপর করের হারকে 35% থেকে 15%-এ হ্রাস করতে চান যাতে কর আরোপণের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বে এক অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক দেশে পরিণত করা যায়।"
-বিএমও ক্যাপিটালের গ্রেগ অ্যাণ্ডারসন একই মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, "ইউএস কর্পোরেট কর হ্রাস করে এবং ফাঁকফোকরগুলিকে কঠোরভাবে ভরাট করলে আমেরিকান ব্যবসার প্রতিযোগিতা মনোভাবকে নাটকীয়ভাবে প্রভাবিত করতে পারার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের "রাজত্ব"-এর স্থিতিকালে আমরা দীর্ঘ মেয়াদিতে এক শক্তিশালী ডলার পেতে চলেছি।"
-অন্যান্য অনেক কারণগুলির মধ্যে যা ইতিবাচকভাবে আমেরিকান মুদ্রাব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে বলে বিশ্লেষকেরা চিহ্নিত করেছেন তা হল আমদানি শুল্কের পরিবর্তন এবং অভিবাসন সংখ্যার হ্রাসকরণ। এইরূপে, আমদানির পরিমিত 5-10% পতনে ডলারের মূল্য একইভাবে শক্তিশালী হতে পারে। অভিবাসীদের সংখ্যা হ্রাসের বিষয়ে, এই চ্যানেলের মাধ্যমে ডলার বিক্রি হ্রাস হবার ফলে ডলারকে শক্তিশালী করার সাথে সাথে তা বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের পরিমাণের উপর এক প্রভাব ফেলবে।
-সোসিয়েটে জেনারেলের বিশ্লেষক কিট জুকস্ বলেছেন,"আমাদের টীম ইউএস জিডিপি-এর বৃদ্ধির বিষয়ে 2018 –এর জন্য 1.1% এবং 2019–এর জন্য 1.2% বৃদ্ধির অনুমান করেছেন। আমরা ডলারের বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এক সন্তোষজনক ভারসাম্য দেখতে পাচ্ছি। প্রকৃত সুদের হার ডলারকেও উপকৃত করবে।"
-ডলারের বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলতে গেলে এটি মনে রাখা উচিত যে পর্যাপ্তভাবে বহু সংখ্যক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘকাল চলবে না। উদাহরণস্বরূপ, এই বিষয়ে ডয়েস্ ব্যাংকের কৌশলবিদ মার্কো স্ট্রিংগা কিছুটা সংশয়তার সাথে অভিমত ব্যাখ্যা করেছেন, যিনি মনে করেন যে ট্রাম্পের আপাত শান্ত রাখার বিবৃতিগুলি এমন কি মাঝারি মেয়াদের জন্যও দ্বর্থ্যব্যঞ্জক।
-নর্দএফএক্স ব্রোকারেজ সংস্থার বিশ্লেষণাত্মক বিভাগের প্রধান, জন গর্ডন বলেন, "এটি প্রমাণিত যে ট্রাম্পের প্রচারপর্বের বিবৃতিগুলি তার প্রকৃত কার্যকলাপের অনুরূপ হবে না ভিন্ন হবে তার উপরে পরবর্তী 12 মাসে অনেক কিছু নির্ভর করবে। তবে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কথা ভাবার সময় আমাদের এটা ভোলা উচিত হবে না পুরানো বিশ্বে কি ঘটে চলেছে। ইউরো জোনের রাজনৈতিক অস্থিরতা অবশ্যই ট্রাম্পের হাতে থাকবে এবং ইইউ-এর অর্থনৈতিক অবস্থার পুনরুদ্ধার শ্লথ করে দেবে। এটি গম্ভীরভাবে বিশ্বের অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় ইউরোর অবস্থান দু্র্বল করে দেবে, বিশেষ করে আমেরিকান ডলারের তুলনায়।"
ফিরে যান ফিরে যান