আর্থিক বছরের ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত 2019-2020

পৃথিবীর আর্থিক বছরের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষারত

বিশ্বব্যাপী সার্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের পূর্বাভাসে পৃথিবী জর্জরিত। কিছু বিশেষজ্ঞ এটির ভবিষ্যৎবাণী করেছেন যে আগামী মাসগুলো থেকেই এটির সূত্রপাত হয়ে যাবে, অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা কিছুটা সময় প্রলম্বিত করে জানাচ্ছেন যে, এটি আসতে অন্ততপক্ষে 2020-র শেষ- অথবা 2021-এর প্রারম্ভিক কাল।কিন্তু দুধরণের মতামত দেওয়া বিশেষজ্ঞরাই একটি প্রবল সমস্যার আগাম বার্তার চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।তেল, আকরিক, লোহা, তামা প্রভৃতির মূল্যের ব্যাপক পতন এবং তার সঙ্গে কারেন্সি এবং স্টক হু-হু করে নেমে যাওয়া, আর দেউলিয়া হয়ে সর্ব্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

প্রখ্যাত জনপ্রিয় অর্থনীতিবিদ নৌরিয়েল রুবিনি মনে করেন যে এই সংকট খুব দ্রুত শুরু হবে এবং তা 2019-2020-র ঠিক শেষের সময়।এর আগে তাঁর পূর্ববর্তী ভবিষ্যৎবাণীগুলি প্ৰতিটি মিলে গিয়েছিল এবং বর্তমানে সিন্ডিকেট নামক একটি প্রোজেক্টের বিষয়বস্তুতে রুবিনি উদাহরণরূপে তুলে ধরেছিলেন অনেকগুলো আসন্ন আর্থিক বিপর্যয়ের লক্ষণ।সেগুলোর মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ যা চীন ইইউ এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ইউএস-এর মধ্যে সংঘটিত হচ্ছে। রুবিনির মতে সুদের হার বৃদ্ধি করেছে ইউএস ফেডারাল রিজার্ভ এবং এই মন্দার কারণ রাজকোষ-শূন্য হয়ে যাওয়া।

এই সমস্ত কারণে আমেরিকার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে প্রায় 1% হারে,যার ফলশ্রুতিস্বরূপ দেশে তীব্র হতে পারে বেকার সমস্যা এবং কাজের ক্ষেত্র ক্রমাগত সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া।আমাদের কারোর একথা ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে অধিকাংশ দেশেরই বৈদেশিক বিনিময় সংরক্ষিত হয়ে থাকে ডলারের মাধ্যমে, তাই ইউএস অর্থনীতির সংকটকাল উপস্থিত হওয়ার অর্থ বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দায় বিধ্বস্ত বাজার অর্থনীতি।

 

কিন্তু বাস্তবিক কি সত্যিই পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ?

প্রথমত, আবারও আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, এই সংকট সাময়িক এবং আবর্তনশীল। যদি আমরা মধ্যমানের-শর্তসাপেক্ষ অর্থনৈতিক চক্রের নীতি আলোচনা করে দেখি, তাহলে আমরা দেখতে পাব যে, 1929 সালের প্রকান্ড মন্দার সময় থেকে শুরু করে মোটামুটি তারপর 7 থেকে 12 বছর অন্তর এই মন্দা ফিরে-ফিরে আসে।

প্রথম অর্থনৈতিক মন্দা: 21 শতকে 2000 সাল থেকে ডটকমসের আগমন বুদ্বুদের মতো অসংখ্য সংখ্যায় (প্রধানত মার্কিন ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো)1994 সাল থেকে এনএএসডিএকিউ-র সূচক বৃদ্দি পেয়েছে প্রায় 500%,-এর বেশি এবং 2000 সালের 10ই মার্চ মাত্র একদিনের মধ্যে এটির পতন ঘটেছে দেড় বারেরও বেশি। এর পর থেকে পতন অব্যাহত ছিলো 2003 সাল পর্যন্ত।

পরবর্তী সংকটকাল সৃষ্টি হয় 2008 সালে  যার কারণ হলো  ইউনাইটেড স্টেটসে বিস্ফোরণের গতিতে বন্ধক রেখে  ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া। এবং এখন আমরা ধীরে-ধীরে এগিয়ে চলেছি একটা নতুন ফুটন্ত সঙ্কটমূহুর্তে যা ভিত্তি করে রয়েছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে  আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দা প্রবলতর হয়ে ওঠার দিকে। গত গ্রীষ্মে এসঅ্যান্ডপি500 সূচক উঠেছিল যাদের বাস্কেট অন্তর্ভুক্ত করেছিল 500টি ইউএস কোম্পানিকে সর্ব্বোচ্চ মূলধন বিনিয়োগ করে, এবং তাদের রেকর্ড লক্ষ্যভেদ হয়েছিল 3000 মার্কে এবং 2010-এর জানুয়ারি মাসে 3 বার কমে গিয়ে  সেটি 1000-এর নীচে চলে যায়। এসিসিএ-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ মাইকেল টেলর এর মূল্যবিচার করে একে 150 বছরের মধ্যে  দীর্ঘতম ক্রমোন্নতির সময়কাল রূপে অভিহিত করেছেন।  এবং আমরা যদি সঙ্কটকালের আবর্তনশীল প্রকৃতির  তত্ত্বের উপর আলোকপাত করি, তাহলে  তাদের পরবর্তী পর্যায় শুরু হওয়ার সময় চলে আসবে।

ওয়াশিংটনের কী হবে?

 “স্বাভাবিকভাবেই, এফইডি নেতৃবৃন্দ এবং রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন” বলেছেন জন গর্ডন, এনওআরডিএফএক্স ব্রোকারেজের প্রধান বিশ্লেষক।– আমাদের এখন আগামী 2020 সালের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, কারণ আগামী বছর ইউনাইটেড স্টেটসের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।যদি মিঃ ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য জিতে ক্ষমতায় আসতে চান (এবং স্পষ্টতই, তিনি সেটা চাইছেন) তিনি কোন অবস্থাতেই মার্কিন অর্থনীতিতে কোনরকম বিপর্যয় বরদাস্ত করবেন না এবং বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া ও আয়ের মাত্রা কমে যাওয়ার মতো নেতিবাচক অর্থনীতির তিনি ঘোর বিরোধী।এই কারণে ভোটদাতারা তাকে কোনমতেই ক্ষমা করবেন না ।সেইজন্য আমরা সম্প্রতি দেখেছি যে, কিভাবে মি: ট্রাম্প তার ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের অর্থনৈতিক পলিসিগুলিকে নমনীয় করার নেতৃত্বে জোর দিয়েছেন। এবং এতে স্পষ্ট মনে হচ্ছে যে ফেডারেল রিজার্ভ রাষ্ট্রপতি নির্দেশিত পন্থাই অনুসরণ করবে।

অতএব, যদি দেখা যায় বিগত ডিসেম্বর মাসে ফেড তার মূল সুদের হার 2.25% থেকে 2.5%-এ বৃদ্ধি পেয়েছে তিনবার এবং যদি চতুর্থবার বৃদ্ধি না পায় তাহলে তা 2020 সালের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে আশা করা যায়। যাইহোক, ঠিক এর বিপরীত অবস্থা ঘটতে শুরু করেছিল 2019 সালের 31শে জুলাই থেকে, এর হার আবার গিয়ে দাঁড়ায় 2.25%। এফইডি চেয়ারম্যান জেরম পাওয়েল ইউএসএ-র জ্যাকসন হোলের বার্ষিক অর্থনৈতিক আলোচনাচক্রে বলেছিলেন যে ফেডারেল রিজার্ভ বর্তমানে প্রস্তুত আরও বেশি উৎসাহভাতাভাবে দিতে যদি কোনভাবে অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে মন্দা দেখা যায়।

অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি,যার মধ্যে রয়েছে  ইউরোপের মূল নিয়ন্ত্রক ব্যাঙ্ক, ইসিবি প্রত্যেকেই পলিসি সহজ করার দিকেই লক্ষ্য রেখেছে। চীনের নেতৃবৃন্দও তাদের অর্থনীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।সুতরাং এখানে একটি আশা রয়েছে যে যৌথ উদোগে যদি বিপদ সম্পূর্ণ কাটিয়ে নাও ওঠা যায় তাহলে অন্ততপক্ষে ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে 2021 সাল পর্যন্ত।

 

ইয়েন, বিটকয়েন, সোনা: একটি সমপার্শ্ববিশিষ্ট ত্রিভূজ

সম্পদ একত্রিত করে সঞ্চয় করার ফলে বৃহত্তম ইউএস কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই পুনরায় নজির সৃষ্টি করেছে শেয়ারহোল্ডারদের হাতে তাদের লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে, যা আমাদেরকে পুনরায় ভাবতে অনুপ্রাণিত করে যে, আগামী মাসগুলিতে যদি সঙ্কট সৃষ্টি হয় তাহলে কি হবে? কি করা দরকার প্রত্যেকের?কি ধরণের সম্পদ লগ্নি করা যায় যাতে একেবারে খালি হাত না হয়ে যায়?

প্রচলিত মুদ্রা যেমন ইয়েনকে বিপদকালে অবলম্বন হিসেবে বিবেচনা করা যায়।কিন্তু তা সত্ত্বেও এগুলির ওপর জোরদারভাবে নির্ভর করা যায় না বিশেষ করে তেলের বাজারের ক্ষেত্রে এবং ইউএস সরকারের বন্ড ত্যাগ করার ক্ষেত্রে। কিছুদিনের জন্য জাপানী ইয়েন মুদ্রা গতিশীলভাবে চালু থাকবে বাজারে। কিন্তু যদি দীর্ঘকালীন জটিল অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয় তাহলে এটিও বাজারে অযোগ্য হয়ে পড়বে।

তাহলে আর কিকি বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে?ক্রিপ্টো একজন উদ্যমী ফান্ডস্ট্র্যাট বিশ্লেষক টম লী বা মর্গ্যান ক্রিক সহকারী প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্টনী পমপ্লিয়ানোর অভিমত হলো বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস অর্জন করে বিটকয়েনে লগ্নি করতে বলা, এবং তাদের বোঝানো যে, এই কার্যকরী কয়েনটি ইতিমধ্যে একটি নিরাপদ সম্পদে পরিণত হয়েছে যার কারেন্সির ঝুঁকিকে প্রতিরোধ করতে পারে। যাইহোক, অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক সুরক্ষা পরিস্কারভাবে সন্দেহজনক এবং অসুরক্ষিত।“আপনার নিজের প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজে দিন“ এই প্রস্তাব দিয়েছেন নর্ডএফএক্সের জন গর্ডন “বিটকয়েন কতখানি নির্ভরযোগ্য যদি দেখা যায় মাত্র 8ই অগাস্ট থেকে 15ই অগাস্টের মধ্যে ডিজিটাল কারেন্সির দাম 20 শতাংশের বেশি নেমে গেছে? এবং তা ফলে ডলার নেমে গেছে $12,000 থেকে $9,500-তে? এবং এটি ঘটেছে কোনরকম সংকট সৃষ্টি না হওয়া সত্ত্বেও! “

এই ধরনের সাময়িক স্থিতিসম্পন্ন বিটকয়েন ভরসাযোগ্য নয় নিরাপদ লগ্নি হিসেবে, কিন্তু উচ্চ-ঝুঁকিসম্পন্ন ধারণার ক্ষেত্রে এটি একটি আদর্শ হাতিয়ার। বিপদে আশ্রয়দাতা হিসেবে যথেষ্ট ভালো কিন্তু চিরাচরিত অর্থনীতির বাজার ওঠাপড়ার ক্ষেত্রে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এর কনিষ্ঠ সহযোগী ডিজিটাল মার্কেটে এসে গেছে যা পরিচিত অল্টকয়েন হিসেবে, এবং যার সুদের হার ক্রমাগত পতনশীল। অবশ্য, এরকম হতেই পারে যে, বিপদকালে, প্রধান ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য হয়তো বিদ্যুতগতিতে বেড়ে গেল। কিন্তু এটা আবার ঠিক তত দ্রুত গতিতেই নেমে আসতে সময় নেবে না। সম্ভাবনার শতাংশ হিসেবে 50-50। আমরা চাইছি একটি প্রকৃত নির্ভরযোগ্য সম্পদ।এবং এই সম্পদটি, অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতেই হলো সোনা।

 

বিগত 20 বছর ধরে, এই মূল্যবান ধাতুটির প্রতি আউন্সে দাম বেড়েছে 2000 সালের সেপ্টেম্বর মাসে $275থেকে শুরু করে 2019-এর সেপ্টেম্বরে $1,550 পর্যন্ত এবং এটি তার লগ্নিকারীদের হাতে লাভ তুলে দিয়েছে 460%।

দ্য গোল্ড ফোরকাস্ট দৈনিক নিউজলেটারের প্রোডিউসার এবং বিশেষজ্ঞ হ্যারি ওয়াগনারের মতে শেষ গুরুত্বপূর্ণ অনুশাসনের বৃদ্ধি শুরু হয়েছিল 2015 সালের শেষের দিকে, সংশোধন $1040-পর্যন্ত ওঠার পরে এবং প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে, সোনাকেই পুর্ননিরীক্ষা করা যায় যা 2011-র পর সবচেয়ে বেশি উঠেছে, এবং 2020 সালে প্রতি আউন্সে এর দাম হবে $2070-2085 পর্যন্ত।

গবিত বছরে 2018-র সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে এই হলুদ ধাতুটির দাম বেড়েছে 30%।ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল(ডব্লিউজিসি)-এর অনুসারে, 2019-এর প্রথম 6 মাসে সোনার চাহিদা বিগত তিন বছরের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ হয়েছে(2181 টন), এবং এর প্রধান কারণ হলো সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের দ্বারা বিপুল মাত্রায় সোনা ক্রয়, যারা, তাদের মতে, তাদের ডলারকে আরও বেশি নির্ভরযোগ্য সম্পদ হিসেবে সংরক্ষিত করতে পারবে।

এক্ষেত্রে উপরের সংখ্যাগুলো খুবই আকর্ষণীয় দেখাচ্ছে,“ বলেছেন নর্ডএফএক্সের বিশেষজ্ঞ- এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কার্যপদ্ধতিকে বিবেচনা করা যেতে পারে একটি উদাহরণ হিসেবে। যাইহোক, এটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে যদি মন্দার সম্ভাবনা থেকে থাকে  তবে চাহিদা এবং ফলস্বরুপ ধাতুর মূল্যও বৃদ্ধি পায় অর্থনীতি যখন স্থিতিশীল হয় এগুলি কমে যেতে পারে এছাড়াও এই পতন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এবং লগ্নিকারীদের অবশ্যই ধৈর্য রাখতে হবে সেই মুহূর্তের জন্য যখন দাম বৃদ্ধি পায় পুনরায় এই পদ্ধতিটি 5 থেকে 10 বছর বা তার বেশি সময় নিতে পারে এইক্ষেত্রে যখন আমরা হেজিং সংক্রান্ত অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে কথা বলি বিশ্বব্যাপী সমস্যা চলাকালীন সোনাকে অবশ্যই নির্বাচিত করা যেতে পারে একটি পছন্দের সম্পদ হিসাবে স্বল্পমেয়াদী এবং মধ্যমমেয়াদী অনুমানের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা যখন একটি আলাদা পন্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন হয় যা নিয়ে আলোচনা করা উচিত অবশ্যই আলাদাভাবে যাইহোক এইক্ষেত্রে সোনা লাভের একটি উৎস হয়ে উঠতে পারে

 

দ্রষ্টব্য :   এই বিষয়বস্তুগুলোকে আর্থিক বাজারে গণ্য করা উচিত হবে না কোন বিলগ্নীকরণ বা পরামর্শ হিসেবে: এগুলি শুধু তথ্যপ্রদানের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত। অর্থনীতির বাজারে ট্রেডিং ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর ফলে আমানত করা টাকা লোকসান হয়ে যেতে পারে।

ফিরে যান ফিরে যান
এই ওয়েবসাইটটি কুকি ব্যবহার করে। আমাদের কুকি নীতিমালা সম্পর্কে আরও জানুন।