বিদেশি মুদ্রা ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত 1-15 মে, 2020’র পূর্বাভাস

প্রথমে গত সপ্তাহের ঘটনাবলির পর্যালোচনা:

  • ইউরো/ইউএসডি: ইউরোপীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে ইসিবি যে-পদক্ষেপ করেছিল, তার উপর গত সপ্তাহে জোর ধাক্কা দিয়েছে জার্মানির সাংবিধানিক আদালত। তাদের মতে, ইউরোপীয় নিয়ামক সংস্থাটি মাত্রিক স্বস্তিবিধান বা কোয়ান্টিটিভ ইজিং (কিউই) কর্মসূচির ব্যাপারে নিজেদের কর্তৃত্বের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে, তাই তাদের সিদ্ধান্ত জার্মানির উপর চলতে পারে না। এই খবরে ইউরো/ইউএসডি-র অবস্থা সঙ্গে-সঙ্গে দুর্বল হয়ে গেছে। এর সঙ্গে যদি আপনারা আর্থিক দাওয়াইয়ের প্রশ্নে ইউরোপীয় সংঘের সরকারগুলোর আপসহীনতাকে যোগ করেন, তাহলে বলতে হয়, ইউরোজোন ভেঙে টুকরো-টুকরো হওয়ার ঝঁকি দিনকে-দিন বেড়েই চলেছে।
    আমেরিকাতেও অবশ্য অবস্থা ততটা ভাল নয়। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যাদি থেকে জানা যাচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজার যতটা খারাপ হবে বলে মনে করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি খারাপ হয়েছে। মার্চের শেষাশেষি থেকে 3 কোটি 35 লক্ষ মার্কিন বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে, শুধু এপ্রিলেই নন-ফার্ম রোজগারের ক্ষেত্রটিতে 2 কোটি 25 লক্ষ চাকরি গেছে এবং বেকারত্ব পৌঁছেছে 14.7 শতাংশে (মার্চে 4.4 শতাংশ)। এমন পরিস্থিতিতে নেতিবাচক মানে ফেডের তরফে সুদের হার ছাঁটাইয়ের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কয়েক জন বিশেষজ্ঞ।
    এখন অবশ্য মনে হচ্ছে যে, বাজার এখন ঝিমিয়ে পড়েছে এবং শুধুমাত্র সংখ্যা ও ঘটনাবলির দিকে নজর দিতে চাইছে না; তার চেয়ে শুধুই এই দিকেই লক্ষ রাখছে যে কবে ব্যাবসা-বাণিজ্য ফের চালু হবে এবং বিভিন্ন দেশে যে কোয়ারেন্টিন চলছে তা কবে উঠবে। এদিকে ইউরো/ইউএসডি-র দর উপর-নীচ করলেও ফেব্রুয়ারির শেষাশেষি ও মার্চে যে-অস্থিরতা আমরা লক্ষ করেছিলাম, তা আর এখন দেখা যাচ্ছে না। এপ্রিলের শুরু থেকে একনাগাড়ে পাঁচ সপ্তাহ ধরে এই দু’টি মুদ্রা 1.0750-1.1000 চ্যানেলে এগিয়েছে এবং এই সীমাকে নতুন করে দেখা দেওয়া মার্কিন-চিনা বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কাও অতিক্রম করতে পারবে না বলে বেশির ভাগ (65 শতাংশ) বিশেষজ্ঞের অনুমান।
  • জিবিপি/ইউএসডি: বিশেষজ্ঞ ও সূচক এই দু’টি মুদ্রার ব্যাপারে গত সপ্তাহে যে-পূর্বাভাস দিয়েছিল, তাতে নিরপেক্ষ ধূসরতা দেখা গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের মত ছিল, এই দু’টি মুদ্রার বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যাবে। আরও এক তৃতীয়াংশের মতে এই দু’টোর পতন হবে এবং আরও এক তৃতীয়াংশের মতে পার্শ্ব প্রবণতা দেখা যাবে। 7 মে তারিখে ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের সভা স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, আর্থিক নীতির মূল ধ্রুবকগুলোকে অপরিবর্তিত রাখা হবে— সুদের হার হবে 1.0 শতাংশ এবং মাত্রিক স্বস্তিবিধান কার্যসূচি থাকবে 64 হাজার 500 কোটি পাউন্ডে। ব্যাঙ্ক পরিচালন সমিতির দু’জন সদস্য এই কর্মসূচিকে 10 হাজার পাউন্ড বাড়ানোর কথা বললেও এই সমিতির বাকি সাত সদস্য সেই পরামর্শকে সমর্থন করেননি।
    এমন এক অন্তর্নিহিত পরিস্থিতিতে ষষ্ঠ সপ্তাহেও পাউন্ড 1.2200-1.2645 চ্যানেলের দিকে এগিয়ে গেছে এবং গত সপ্তাহে এর উত্থান-পতনের হার 1.2265-1.2500 হারে সংকুচিত হয়েছে। এই পরিসীমার মধ্যে থেকে এই দু’টি মুদ্রা 1.2405 স্তরে লেনদেনের সত্র শেষ করেছে।
  • ইউএসডি/জেপিওয়াই: গত সপ্তাহে ডি1-এ অসিলেটরদের 75 শতাংশ ও প্রবণতা সূচকের 100 শতাংশ এই অনুমান করেছিল যে 25 মার্চ থেকে পতনমুখী যে-প্রবণতা শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত থাকবে এবং এই দুই মুদ্রার একত্রীকরণ থাকবে 107.00 মূল স্তরে। সাধারণ ভাবে, এই পরিস্থিতিতে ঘটনাবলি উন্নত হয়েছে। মে মাসের প্রথম দিনটির কথা মনে করুন, এই দুই মুদ্রা 107.00-র সাহায্য ভেঙে ফেলার আরও এক প্রয়াস পেয়েছিল, এবং লেনদেনের সত্র এর চেয়ে সামান্য নীচে— 106.00-এ— শেষ করেছিল। এরপর পতন অব্যাহত থাকল এবং 6 মে বুধবার এই দুই মুদ্রা 106.00 স্থানীয় নিম্নস্থান হাতড়ে বেড়িয়েছে। এরপর পালটা প্রবণতা দেখা দিয়েছিল এবং এই দুই মুদ্রা প্রথম সপ্তাহের মানে ফিরে গিয়ে পাঁচদিনের সময়কালে 106.70 স্তরে গিয়ে শেষ করেছে।
  • ক্রিপ্টোকারেন্সি: বিটকয়েন নেটওয়ার্কের অর্ধেক হওয়ার দিন ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে। চার দিনেরও কম সময় আগে এই পূর্বাভাস লেখা হয়েছে। তাই আপনার যখন এটা পড়বেন, ততদিনে হয়তো এটা অর্ধেক হয়েই যাবে।
    ব্যাবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা আমাদের যেসব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, তার থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে, তাঁরা কেউ-ই এই ঘটনার অর্থ বুঝতে পারেননি। সেজন্য এটা স্পষ্ট করে বলার দরকার আছে।
    নেটওয়ার্ক অর্ধেক হয়ে আসার জন্য বিটকয়েনের ক্ষেত্রে ধার্য করা হয়েছে যে, তারা মাত্র 2 কোটি 10 লক্ষ কয়েন মাইন করতে পারবে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো যেখানে নিজেদের মুদ্রা সীমাহীন ভাবে ছাপতে পারে, সেখানে বিটকয়েনের পরিমাণ কঠোর ভাবে সীমিত করা হয়েছে, যা কিনা এর মান নির্ধারণ করে, যা এই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে সোনার সমান করে তোলে।
    অর্ধেক করা হল একটা প্রক্রিয়া, যে-প্রক্রিয়ায় একটা ব্লক মাইন করার রিওয়ার্ডকে অর্ধেক হ্রাস করা হয়। বিটকয়েন আসার পর থেকে এর আগেও দু’বার এরকম করা হয়েছে— 2012 ও 2016 সালে। তাই ক্রিপ্টো কইনের বিলি করা রেজিস্ট্রিতে প্রতিটি ব্লকের জন্য প্রথম পর্বের মাইনাররা যদি 50 বিটিসি পেতে পারেন, তাহলে এই অঙ্কটা খুব শীঘ্রই মাত্র 6.25 বিটিসি হয়ে যাবে। এর কাজ হবে মূল ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্যস্ফীতিকে রোধ করা এবং এটা নিশ্চিত করা যে, পুরো 2 কোটি 10 লক্ষ বিটকয়েন যেন শুধু 2140-এর দ্বারাই সম্পূর্ণ ভাবে মাইন করা হয়।
    এটা মনে রাখতে হবে যে, নির্দিষ্ট কোনও তারিখে এটা অর্ধেক হবে না, কিন্তু এই মুহূর্তে বলতে হয়, পরে কবে 210,000 ব্লক মাইন করা হবে। আসন্ন অর্ধেক হওয়ার ঘটনা ঘটবে 630,000 ব্লকে এবং হিসাবনিকাশ অনুযায়ী এটা হবে 12 মে তারিখে।
    এই অবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে-যেতে মূল ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রায় 14 শতাংশ সাপ্তাহিক বৃদ্ধি দেখিয়েছে, একটা সময়ে তো 10,000 ডলারের ল্যান্ডমার্কেরও উপরে চলে গিয়েছিল। ক্রিপ্টো বাজারের মোট বাজার মূলধন পৌঁছেছে 27 হাজার কোটি ডলারে, যার প্রায় 70 শতাংশই ধরে রেখেছে বিটিসি। দু’সপ্তাহে ক্রিপ্টো ফিয়ার ও গ্রিড ইন্ডেক্স 20 থেকে বেড়ে হয়েছে 55। ইনডেক্স বা সূচকের ক্রিয়েটরদের মতে, ওপেনিং শর্ট পজিশন বিপজ্জনক হয়ে থাকার অবস্থায় এই বৃদ্ধি বাজারে প্রচলিত গ্রিডের অনুরূপ।
    এদিকে মেন অল্টকয়েনগুলো হয় কোনও বৃদ্ধিই দেখায়নি বা রেড জোনে চলে গেছে। যা কিনা বেঞ্চমার্ক ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো নয় মোটেও। ইথেরিয়াম (ইটিএইচ/ইউএসডি), রিপল (এক্সআরপি/ইউএসডি) ও লাইটকয়েন (এলটিসি/ইউএসডি) সাতদিন আগে যেখানে ছিল 8 মে শুক্রবার সন্ধ্যাতেও প্রায় সেখানেই পড়ে ছিল। এর মানে, বিনিয়োগকারীরা বিটকয়েন নিয়ে এমনই মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে যে, বাকি কয়েনগুলোর কী হাল হচ্ছে তা নিয়ে তাঁরা বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাচ্ছেন না।

 

বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতামত এবং সেই সঙ্গে কারিগরি ও রৈখিক বিশ্লেষণের নানা রকমের পদ্ধতির ভিত্তিতে হওয়া পূর্বাভাসকে সংক্ষেপিত করে আসন্ন সপ্তাহের পূর্বাভাস সম্পর্কে আমরা নিম্নলিখিত কথাগুলো বলতে পারি:  

  • ইউরো/ইউএসডি: মিডল কিংডমের দিকে তাকিয়ে মার্কিন প্রশাসন সক্রিয় ভাবে নিজেদের অস্ত্রে শান দিচ্ছে। মার্কিন রফতানি বৃদ্ধির প্রতি বেজিঙের প্রতিশ্রুতির উপর নজর রাখার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে এমন ইঙ্গিতও শুনতে পাওয়া যাচ্ছে যে, কোভিড-19 অতিমারি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার মূলে রয়েছে চিন। এর থেকে আমরা এই অনুমান করতেই পারি যে, চিন-বিরোধী শুল্ক হার বসতে আর বেশি দেরি নেই।
    অন্যদিকে ইউরোপ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জার্মান সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা খোঁজার চেষ্টা করে চলেছে, যা কিনা ইউরোপীয় অর্থনীতিকে বিশাল আকার ধারণ করার পথে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সোসিয়েট জানেরেল ও সিটি ইত্যাদি শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলো এখন বলাবলি করছে যে, ইসিবি যদি জার্মান সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না-করে জার্মান সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানায় তাহলে ইউরোজোনে চিড় ধরার আশঙ্কা রয়েছে। পূর্বাভাসে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা না-ঘটলেও 2020-তে ইউরোজোনের জিডিপি নেমে গিয়ে 7.7-এ পৌঁছবে।
    এসবের জন্য ঝুঁকি না-নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ডলারকেই ফের সুরক্ষিত মুদ্রা হিসাবে দেখতে শুরু করেছেন। ইউরোপীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ব্যাপারে ইসিবি-র হাত-পা যদি বাঁধা থাকে, তাহলে বিওএফএ মেরিল লিঞ্চ-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ইউরো/ইউএসডি জুটি এই বছরের শেষের দিকে 1.0200 অবধি পড়ে যেতে পারে।
    পরবর্তী সপ্তাহের জন্য বিশেষজ্ঞদের ভোট ভাগাভাগি হয়েছে এইভাবে: 35 শতাংশের বিশ্বাস এই জুটি 1.0750-1.1000’এর মধ্যেই নিজেকে স্থির রাখবে, 50 শতাংশের আশা ডলার শক্তিশালী হবে এবং এ নিজের নীচের সীমাকে অতিক্রম করে চলে যাবে, এবং বাকি 15 শতাংশ উত্তরমুখো হয়ে আছেন।
    সূচকে খানিকটা অন্য ছবি রয়েছে। এইচ4-এ ট্রেন্ড সূচকের 60 শতাংশ ও অসিলেটরের 70 শতাংশ সবুজ হয়ে রয়েছে। এবং ডি1-এ এখনও লাল সংকেত রয়েছে। এর মধ্যে অসিটেলরদের 60 শতাংশ ও ট্রেন্ড সূচকের 90 শতাংশ রঙিন হয়ে আছে।
    সহায়ক স্তর রয়েছে 1.0750 ও 1.0650-এ। প্রতিরোধ স্তর রয়েছে 1.1000, 1.1065, 1.1100 ও 1.1150-এ।

  • জিবিপি/ইউএসডি: পাউন্ড এখনও চাপে রয়েছে। ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস অতিমারির সমস্যা। ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের মতে, 2020-র দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ইউকে-র জিডিপি 2019-এর শেষ পর্যায়ের চেয়ে “প্রায় 30 শতাংশ কম হবে”। তা সত্ত্বেও ব্রিটিশ অর্থনীতিতে অর্থ সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করেনি নিয়ামক। এদিকে বর্তমানে যে-হারে বন্ড কেনা হচ্ছে, তা জুলাইয়ের শেষাশেষি বর্তমান সীমাকে শেষ করে ফেলবে। এরপর কী হবে? তা এখনও পরিষ্কার নয়।
    ডি1-এ রৈখিক বিশ্লেষণের সাহায্যে 40 শতাংশ বিশেষজ্ঞ ও দুই সময়সীমা (এইচ4 ও ডি1)-এর সূচকেরা আশা করছেন, এই জুটি 1.2265-1.2500 চ্যানেলে পার্শ্ব প্রবণতা বজায় রাখবে। অন্য 40 শতাংশ বিশেষজ্ঞ এই অপেক্ষায় রয়েছেন যে, এই চ্যানেলের নিম্ন সীমা অতিক্রম হবে এবং এই জুটির 1.1000-1.265 জোনে পতন হবে, এবং মাত্র 20 শতাংশের বিশ্বাস, এটা উঠতে-উঠতে 1.2640 অবধি উঁচুতে পৌঁছে যাবে। এই উত্থানের পরবর্তী লক্ষ্য হল 1.2725, এই মাত্রাকে ছুঁয়ে নিয়ে এই জুটি 1.2865-1.3025 স্তর পর্যন্ত ওঠার চেষ্টা করবে।
  • ইউএসডি/জেপিওয়াই: গত সপ্তাহে এই জুটির ইংরাজি v আকৃতির মতো গতিবিধি বিশেষজ্ঞদের পুরো দু’ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। ডি1 সম্পর্কিত সূচক দেখে 50 শতাংশ বিশেষজ্ঞ পতনের আশঙ্কা করছেন, এবং বাকি 50 শতাংশ এইচ4 সংক্রান্ত সূচক দেখে উত্থানের পক্ষে রয়েছেন। এর পাশাপাশি এই পরের 50 শতাংশ মনে করছেন যে, 6 মে যে-বিপরীত প্রবণতা দেখা দিয়েছিল, তা আসলে নতুন মধ্যবর্তী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি আমেরিকা ও চিনের মধ্যে চাপান-উতোর আরও না-বাড়ে তাহলে এই জুটি 109.00 অবধি উঠবে এবং পরে 112.00 অবধি উঠবে।
    নিকটতম সহায়ক স্তরগুলো হল 106.20, 106.00 ও 105.00। প্রতিরোধ স্তরগুলো হল—107.00, 107.45 ও 108.00।
  • ক্রিপ্টোকারেন্সি: অর্ধেক হয়ে যাওয়ার মতো এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটতে পারার মতো প্রত্যাশার ভিত্তিতে কোনও অনুমান করাটা ঠিক নয়। আমরা বারে-বারে অসংখ্য ক্রিপ্টো গুরুর অনুমান সম্পর্কে বলে আসছি যে, তাঁরা সবাই এই আশায় বসে রয়েছেন যে বিটকয়েন 50,000, 100,000 ও 250,000 ডলার অবধি উঠবে। অবশ্য এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁদের মত পুরো উলটো। যেমন, আর্থিক ও ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশেষজ্ঞ জোসেফ ইয়ং মনে করছেন, অর্ধেক হওয়ার পর সামান্য পিছু হটবে এবং তার পর আবার এক নাগাড়ে বেশ কয়েক বার মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বৃদ্ধির সময় চলবে, তার পর দর পড়বে বা একেবারে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে।
    আরও এক বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ী টন ভেস মনে করেন, মূল্যের দিক দিয়ে বিটিসি/ইউএসডি-র বড়সড় উত্থানের আশা নেই। তিনি বলেন, “আমরা হয়তো 6.000 ও 10,000 ডলারের মধ্যেই আটকে থাকব এবং এরকম এ বছরের শেষাশেষি অবধি চলবে।”
    মে-র শেষ অবধি পূর্বাভাস অনুযায়ী এরা খুব উঁচু অবধি উঠতে থাকবে— মার্চ 2020-তে নিম্নমুখী হয়ে এরা ছিল 4,000 ডলারে এবং জুন 2019-এ এরা 14,000 ডলারে গিয়ে উঠবে। এখন পর্যন্ত 65 শতাংশ বিশেষজ্ঞ উত্থানের পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং 35 শতাংশ বিশেষজ্ঞ রায় দিয়েছেন পতনের পক্ষে। অদূর ভবিষ্যতে আমরা বুঝতে পারব, কাদের অনুমান ঠিক। এর জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।

 

নর্ডএফএক্স অ্যানালিটিক্যাল গ্রুপ

 

বিজ্ঞপ্তি : এসব তথ্য আর্থিক বাজারে কাজের জন্য বিনিয়োগ বা পরামর্শ হিসেবে কোনো সুপারিশ নয় : এগুলি একমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে। আর্থিক বাজারে ট্রেডিং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর ফলে ডিপোজিটকৃত ফান্ডের পরিপূর্ণ ক্ষতি হতে পারে।

ফিরে যান ফিরে যান
এই ওয়েবসাইটটি কুকি ব্যবহার করে। আমাদের কুকি নীতিমালা সম্পর্কে আরও জানুন।