প্রথমেই গত সপ্তাহের পর্যালোচনা:
- ইউরো/ইউএসডি. “কমিটির কয়েকজন সদস্য এই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করাটা ঠিক হবে বলে মনে করেন যে, ফেড যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল, সে দিকেই যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, তাহলে আর্থিক সঞ্জীবনীতে কাটছাঁট করার দরকার আছে।” এটাই উদ্ধৃত করা হয়েছে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (এফওএমসি)-র বৈঠকের মিনিটে। যা 19 মে, বুধবারে প্রকাশিত হয়েছে। এই কথাগুলোকে অস্পষ্ট বললেও কম বলা হয়। কিন্তু এই কথাগুলো এই সময় একদমই বলা যায় না, যখন কিনা ডলারের পতন হওয়ার ফলে ইউরো/ইউএসডি জুটির পতন হয়েছে। এর ফলে, আট সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রা 1.2245 পর্যন্ত দুম করে উঠে যাওয়ার পরেও, তা 85 পয়েন্ট কমে গিয়ে 1.2160 সাপোর্টে গিয়ে পৌঁছেছে।
বাজার অবশ্য খুব তাড়াতাড়ি এ কথা বুঝতে পেরেছে যে, বাস্তবে এই অবস্থার কোনও মানে নেই। কিউই কর্মসূচিতে কাটছাঁট করা ও সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ যদি জুন মাসে আলোচনা শুরু করে, তাহলে এইসব বিষয় নিয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ করার ব্যাপারে অপেক্ষা করাটা কাজের কাজ হবে না। এমন ‘আলোকপ্রাপ্তি’-র ফলে এই জুটি 1.2240 উচ্চতায় ফের পৌঁছে যেতে পেরেছে। কিন্তু তারা সেখানে টিকে থাকতে পারেনি।
21 মে, শুক্রবার 10 বছরের মার্কিন সরকারি বন্ডের থেকে উপার্জন 1.61% থেকে বেড়ে 1.63% হয়েছে, মার্কিন শেয়ার বাজারের সূচক নেমেছে, তার উপর আবার জার্মানিতে ব্যাবসা ছিল মন্দা। এসবের ফলে ইউরো/ইউএসডি জুটি ফের 1.2160 সাপোর্টে গিয়ে পড়েছে। সপ্তাহের শেষেও সেখান থেকে খুব বেশি নড়চড় হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেটা ছিল 1.2180। - জিবিপি/ইউএসডি. বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা ছিল বলে ব্রিটিশ মুদ্রা ওঠা-নামা করেছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই, জিবিপি/ইউএসডি-র গতিপথে সেই সব দিকেরই প্রভাব পড়েছিল, যে-সব দিক পূর্ববর্তী জুটিতেও প্রভাব ফেলেছে। তা সত্ত্বেও, পাউন্ড শুধু নিজের বার্ষিক মাত্রাকেই ফের নতুন করে চাঙ্গা করতে চাইনি, বরং 36 মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায়, অর্থাৎ 1.4241 মাত্রায় পৌঁছে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে।
গত সপ্তাহের পূর্বাভাস দেওয়ার সময় বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই 1.4100-1.4200 মাত্রারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এই পূর্বাভাসে খুব সামান্য নড়চড় দেখা দিলেও, তা প্রায় মিলে গেছে।
ইউকে লেবার মার্কেট থেকে যে ইতিবাচক পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছিল, তার থেকে উজ্জীবিত হয়ে এই জুটি সপ্তাহের শুরুতে 1.4075 মাত্রাকে পেরিয়ে 1.4220-তে গিয়ে পৌঁছেছিল। তারপর এই জুটির লেনদেন কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে কয়েক পয়েন্ট উঠে 1.4100-1.4232 সীমায় পৌঁছেছিল।
শুক্রবারে আমেরিকান সেশনের সময় ট্রেজারিতে বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছিল, সেই সঙ্গে ইউএস সার্ভিস সেক্টর সম্পর্কে আইএচএস মারকিট থেকে দারুণ তথ্যাদি আসার পর এই জুটি ফের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল। তারপর পাঁচদিনের বাজারের শেষদিন এই জুটি ছিল 1.4153-এ। - ইউএসডি/জেপিওয়াই. টানা তিন সপ্তাহ পর, চতুর্থ সপ্তাহেও বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই পতনের পূর্বাভাসই দিয়েছিলেন। তাঁদের মনে হয়েছিল, এই জুটি 109.00 সাপোর্টে নামবে, তারপর গিয়ে পড়বে 108.35-এ। তাঁরা ন্যায্য কথাই বলেছিলেন। এই জুটি 109.00 সাপোর্টকে পেরিয়ে গিয়ে নীচের দিকে নেমে গেছে। এটা সত্যি যে, এই জুটি দ্বিতীয় লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি, এবং স্থানীয় নিম্নমাত্রা ছিল 108.56।
মার্কিন বন্ডের উপার্জনে ও পণ্য-মূল্যে পতনের ফলে প্রায় গোটা সপ্তাহ জুড়েই লাভবান হয়েছে ইয়েন। এই জুটি হয়তো আরও নীচে নামত। কিন্তু তেলের মৃল্যবৃদ্ধি এবং ট্রেজারির উপার্জন বেড়ে যাওয়ার ফলে এই জুটি ফের 109.00 সীমানায় গিয়ে পৌঁছেছিল। তারপর লেনদেনের বাজার যেদিন গোটানো হল, সেদিন ছিল 108.93 মাত্রায়। - ক্রিপ্টোকারেন্সি. 2020-র শরতে উত্থানের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা দেখে বহু বিনিয়োগকারীই আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন। তাঁরা ভেবেই নিয়েছিলেন যে, ডিজিট্যাল সম্পত্তি চিরকাল শুধু বাড়তেই থাকবে। কিন্তু তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন যে, ক্রিপ্টোর বাজার একই রকম থাকে না; বলা ভাল, ঘন-ঘন পালটাতে থাকে। সামান্য এদিক-ওদিক হলেই এর বাজারে খুব গুরুতর ওঠা-পড়া শুরু হয়ে যায়। ভূমিকম্প হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সুনামির ঢেউ উঠলে আক্ষরিক অর্থেই বাজারের সমস্ত দিক নানা সুবিধার সাহায্যে খুলে যায়।
ক্রিপ্টো বাজারে এ রকমই বড়সড় ভূমিকম্প দেখা দিয়েছিল মে মাসের প্রথম কুড়ি দিনে। প্রথম দু’বার ধস নেমেছিল ইলন মাস্কের জন্য।
টেসলা প্রথমে ঘোষণা করেছিল যে, তারা বিটকয়েনের বিনিময়ে ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি করবে না। পরিবেশ সচেতনতা থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিল তারা। তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, “মাইনিং-এর জন্য যে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। বায়ুমণ্ডলে কী পরিমাণ গ্যাস নির্গত হবে, তার উপরেই নির্ভর করছে আমাদের পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। আমরা কিন্তু পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার বিষয়টা থেকে দূরে সরে থাকব না।”
এর পরের ধাক্কাটা বাজারের গায়ে এসে লেগেছিল ইলন মাস্কের টুইটের জন্য। তিনি জানিয়েছিলেন যে, টেসলা আগে যেসব বিটকয়েন নিয়েছে, তার বিনিময়ে তারা গাড়ি নিশ্চয়ই বিক্রি করবে। মাত্র তিন মাস আগেই একটা খবর বেরিয়েছিল যে, বিটকয়েনে টেসলা 1.5 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই খবরে বিটকয়েনের দর 22% উঠেছিল। এখন তারা হয়তো এর থেকে দূরে থাকতে চায়।
ক্রিপ্টো বাজারে তৃতীয় আতঙ্ক ছড়াল তখন, যখন চিনা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিট্যাল সম্পত্তি সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদানের কাজে নিষিদ্ধ করা হল। এ সংক্রান্ত বিবৃতি জারি করেছিল তিনটি আর্থিক নিয়ামক প্রতিষ্ঠান, যারা অনলাইনে আর্থিক লেনদেন, পেমেন্ট বাজার ও ক্লিয়ারিং তত্ত্বাবধান করে।
চিনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি মজুত ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে কোনও রকম পরিষেবা দিতে পারছে না। সেই সঙ্গে আবার, ডিজিট্যাল সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনও পণ্যও বাজারে ছাড়তে পারছে না। তারা এমনকী ক্রিপ্টোকারেন্সিকে পেমেন্টের মাধ্যম হিসাবেও ব্যবহার করতে পারছে না। এ ব্যাপারেও তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তিন নিয়ামক সংস্থা যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে, ভার্চুয়াল কারেন্সিগুলোর “কোনো বাস্তব মূল্য নেই; তাদের দামকে সহজেই এদিক-ওদিক করা যায়; এবং এদের লেনদেনের যে-চুক্তি, তা চিনা আইনের আওতার বাইরে”।
ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ-এর প্রধান জেরোম পাওয়েল চিনা কর্তৃপক্ষের প্রতি নিজের সমর্থন প্রকাশ করেছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, আর্থিক স্থিরতার পথে এইসব কারেন্সি বিপদ ডেকে আনে। তিনি এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এগুলোকে আরও কঠোর ভাবে হয়তো নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এর পাশাপাশি আভার ইউএস ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি প্রস্তাব এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, 10,000 ডলারের বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রান্সফার করলে, সে-কথা ট্যাক্স সার্ভিসকে অতি অবশ্যই জানাতে হবে।
একটা কথা মনে করিয়ে দেওয়া যাক, 14 এপ্রিল তারিখে বিটকয়েন 64,600 ডলারের মাত্রায় পৌঁছেছিল। যা এই কারেন্সির সর্বকালের সর্বোচ্চ মাত্রা। কিন্তু তার মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পরে, অর্থাৎ এখন 19 মে তারিখে বিটকয়েনের দর নেমে 53% কমে হয়েছে 30,225 ডলার। (অন্যদিকে, ইথেরিয়ামের দর উঠেছিল 4,364 ডলার পর্যন্ত, সেটা 56 শতাংশ কমে গিয়ে হয়েছে 1,927 ডলার।) এরপর মনে হয়েছিল, বাজার হয়তো নিজেকে সামলে নিয়েছে। কেননা, বিটকয়েন/মার্কিন ডলার জুটি উঠেছিল 42,285 ডলারে। কিন্তু 21 মে, শুক্রবার দেখা গেল উলটপুরাণ। সেদিন সন্ধ্যায় এর দর নেমে গিয়েছিল 35,550 ডলারে।
ক্রিপ্টো ফিয়ার অ্যান্ড গ্রিড ইন্ডেক্স 20 মে তারিখে মাত্র 11 পয়েন্টে গিয়ে পড়েছিল। যা কিনা 12 মাসে সর্বনিম্ন। বাজার খোলা থাকার সপ্তাহের শেষ দিন, অর্থাৎ, 21 মে তারিখে এই সূচক সামান্য উঠে 19 পয়েন্টে পৌঁছেছিল। এখন তা “এক্সট্রিম ফিয়ার” জোনে আছে। ইন্ডেক্স ডেভেলপারদের মতে, এমন সব হার দেখে মনে হচ্ছে, বাজার এখনও প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছে; সম্ভবত, কিছু সময় পর বৃদ্ধির যাত্রা শুরু হবে।
আতঙ্কের চোটে সস্তায় বিটকয়েন বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এর প্রভাব শুধু বিটকয়েনের উপরেই নয়, বরং গোটা ক্রিপ্টো বাজারের উপর পড়েছে। 12 মে তারিখে এর মোট পরিমাণ ছিল 2.54 ট্রিলিয়ন। কিন্তু মাত্র সাতদিন পর, অর্থাৎ, 19 মে তারিখে তা নেমে গেছে 1.43 ট্রিলিয়নে। 21 মে, শুক্রবার সন্ধ্যায়ও এই মাত্রা বজায় ছিল।
গত সপ্তাহের পর্যালোচনা শেষ করার সময়, নেতিবাচক অবস্থার মধ্যেও কিছুটা আশার সঞ্চার করতে পারলে কাজে আসবে। আসলে, দর পড়ে যাওয়ার ফলে অনেকের টাকা গচ্চা গেলেও, অন্যান্য অনেকে আবার বেশ বড়সড় দাওঁ মেরেছেন। ইটসব্লকচেন পোর্টালের মতে, 9 মে তারিখে একজন 3,000 বিটকয়েন বিক্রি করেছেন গড়ে 58,500 ডলার দরে; এরপর 15 থেকে 19 মে-র মধ্যে 3,521 বিটকয়েন কিনেছেন গড়ে 44,500 ডলার দরে। তার মানে, ওই বিনিয়োগকারীর লাভ হল 18.7 মিলিয়ন ডলার, তার সঙ্গে আবার, তাঁর সংগ্রহে বিটকয়েনের সংখ্যা আরও 521টা বেড়ে গেল। একটা কথা এখানে মনে করিয়ে দেওয়া ঠিক হবে যে, নর্ডএফএক্স ব্রোকারেজ কোম্পানি তাদের ক্লায়েন্টদের এমন সুযোগ দেয় যে, ওই ক্লায়েন্টরা শুধুই যে বাজার ওঠার সময় লাভের মুখ দেখেন তা-ই নয়, বাজার পড়তে থাকলেও তাঁদের লক্ষ্মীলাভ হতেই থাকে। তার উপর আবার, লং ও শর্ট এই দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য পকেটে মাত্র 150 ডলার এবং একটা বিটকয়েন থাকলেই হয়ে যায়। (1টা ইথেরিয়ামের ক্ষেত্রে এটা আবার 10 গুণ কম, অর্থাৎ মাত্র 15 ডলার)।
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতামত একত্র করে, কারিগরি ও রৈখিক বিশ্লেষণের বিভিন্ন পদ্ধতির ভিত্তিতে করা পূর্বাভাসের ভিত্তিতে আসন্ন সপ্তাহের পূর্বাভাস হিসাবে আমরা নিম্নলিখিত কথাগুলো বলতে পারি:
- ইউরো/ইউএসডি. করোনাভাইরাসের ধাক্কায় অর্থনীতিতে ধস। 2020-র বসন্তে এটাই নির্ধারণ করে দিয়েছিল যে, বাজারের অবস্থা কোন দিকে গড়াবে। কিন্তু এখন, এক বছর পর, পরিস্থিতি পুরো 180 ডিগ্রি ঘুরে গেছে। এখন বাজারের মূল চালিকা শক্তি হল রিফ্লেশন। অর্থাৎ, নিজের সক্রিয় উদ্দীপনায় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো।
এসঅ্যান্ডপি500 ও ন্যাসড্যাক-এর সূচক একের পর এক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছচ্ছে। অন্যদিকে, শেয়ার বাজার অতিরিক্ত গরম থাকা সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা বারে-বারে ডলার বিক্রি করে চলেছেন ডুবতে থাকা শেয়ার ও অন্যান্য ঝুঁকি-পূর্ণ সম্পত্তি ফের কেনার জন্য।
30 মার্চ, 2021 তারিখে ডিএক্সওয়াই ডলার ইন্ডেক্স পড়ে যাওয়ার প্রবণতা ছিল; অন্যদিকে, ইউরো/ইউএসডি জুটি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ফেড কর্মকর্তারা বলছেন যে, জুলাইতেই হয়তো কিউই-তে কাটছাঁট করার সম্বাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। তা সত্ত্বেও, এটা হয়তো স্বল্প মেয়াদে ডলারকে মজবুত করেছে। সম্প্রতি ম্যাক্রো পরিসংখ্যান যে ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাতে মনে হয় না, নিয়ামকরা মার্কিন অর্থনীতিকে আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করবেন বলে। যদিও বা কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ করা হয়, তা করতে-করতে এ বছরের শেষ অবধি গড়াবে মনে হয়।
মার্কিন অর্থনীতি যে সুস্থির ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, তা নিয়ে অবশ্য কারও মনে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু, সম্প্রতি এর গতি বেশ চোখে পড়ার মতো করে মন্থর হয়েছে। তাই হয়তো, কোভিড-19 অতিমারিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ইউরোপই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। কয়েক মাস আগে ইউরোজোন যে-অবস্থায় ছিল, এখন তার চেয়ে অনেক মজবুত অবস্থায় আছে বলে মনে হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে টিকা দেওয়ার কাজ জোর কদমে চলছে; তার উপর আবার, কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাও ক্রমশ কমানো হচ্ছে। এসব দেখে মনে হচ্ছে, ইউরোপের অর্থনীতি খুব শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াবে। ইউরোপীয় কমিশন প্রথমে এই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, 2021-এ তাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে 3.8%। কিন্তু, এখন তারা বলছে যে, এই বৃদ্ধির হার হবে 4.3%। এখন মনে করা হচ্ছে, জুন মাসে ইসিবি-র যে বৈঠক হওয়ার কথা, সেখানে সুদের হার বৃদ্ধির পক্ষে থাকা লোকেরা সরব হবেন।
ইউরোপের অর্থনীতি রফতানির উপর নির্ভরশীল। তাই জো বাইডেন প্রশাসন যদি আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়, তাহলে ইউরোপের বাজারের পক্ষে তা অনুকূল হবে। এই শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল পূর্বতন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে।
এসব দেখে মনে হচ্ছে, ইউরো/ইউএসডি জুটির উত্থান বজায় থাকবে। পূর্বাভাস বলছে, এই জুটি এ বছরের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা 1.2350-তে গিয়ে পৌঁছবে। 70 শতাংশ বিশেষজ্ঞ এ বিষয়ে একমত। নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল হল 1.2245 ও 1.2300। আমরা বলতে পারি যে, দীর্ঘ মেয়াদে এই জুটি 1.2550 উচ্চতায় পৌঁছবে। বাকি 30 শতাংশ বিশ্লেষকের মতে, মার্কিন শেয়ার বাজারে দাম পড়তে থাকা শেয়ার কেনা হচ্ছে বলে, এইসব শেয়ারের দাম বেশ ভাল ভাবেই বাড়বে। যার ফলে এই জুটি 1.2160 সাপোর্ট মাত্রাকে পেরিয়ে চলে যাবে। তারপর প্রথমে, 1.2050 মাত্রায় গিয়ে পড়বে, তারপর 1.1985-1.2000 জোনের সাপোর্টে গিয়ে পৌঁছবে।
রৈখিক বিশ্লেষণ এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইউরো/ইউএসডি জুটি 1.2160-1.2245 ট্রেডিং রেঞ্জে কিছু সময় থাকবে। তারপর এটা পড়তে থাকবে। এইচ4 সংক্রান্ত টেকনিক্যাল ইন্ডিকেশন নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। কিন্তু ডি1 নিয়ে এই ইন্ডিকেশন অনেক বেশি স্পষ্ট। 85 শতাংশ অসিলেটর ও 90 শতাংশ ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
ম্যাক্রো পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে, 27 মে, বৃহস্পতিবারের দিনটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় হবে বলে মনে হচ্ছে। সেদিন আমরা জানতে পারব টেকসই পণ্যের অর্ডার কী পরিমাণ দেওয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি সংক্রান্ত তথ্যাদিও জানতে পারব। - ইউরো/ইউএসডি. আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার ফলে ইউকে-তে মে মাসটা বেশ ভাল ব্যাবসা দিতে পারে, এবং মানুষ হয়তো মনমতো টাকাপয়সাও খরচ করেছে। তার উপর আবার, এ দেশের সরকার কোয়ারেন্টিন সংক্রান্তি অন্যান্য বিধি-নিষেধও তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। 21 জুনে সমস্ত বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হবে বলে ভাবা হচ্ছে। এসবের ফলে হয়তো বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা হয়তো তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে দেবে। জিডিপি/ইউএসডি জুটি তাদের 36 মাসের সর্বোচ্চ মাত্রায়, অর্থাৎ, 1.4241-এ ফের নতুন করে পৌঁছবে। এই পূর্বাভাসের ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন 65 শতাংশ বিশ্লেষক। এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ডি1 সংক্রান্ত 90 শতাংশ অসিলেটর এবং 95 শতাংশ ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর। তার পাশাপাশি এইচ4 ও ডি1-এর রৈখিক বিশ্লেষণও এর পক্ষে আছে।
এটা ঠিকই যে, জুনের প্রথম দশ দিন পাউন্ডের দর পড়বে বলে অনুমান করা হয়েছে রৈখিক বিশ্লেষণে। বাকি 35 শতাংশ বিশেষজ্ঞও মনে করছেন, পতনের হারে পরিবর্তন হতে থাকবে। সাপোর্ট লেভেল থাকবে 1.4100, 1.4075 ও 1.4000-তে। - ইউএসডি/জেপিওয়াই. জাপানের সিপিআই (কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স) প্রকাশিত হয়েছে 20 মে, মঙ্গলবারে। এর কম হার দেখে মনে হচ্ছে, এখানে আসলে যা ফল বেরিয়েছে, তা অন্যান্য সব জায়গার ফলাফলকে হার মানিয়েছে। এ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ইয়েন-এর অবস্থা খুব বাজে ভাবে নড়বড়ে থাকা সত্ত্বেও এই ফল বেরিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে যে-রিফ্লেশন দেখা দিয়েছে। তার উপর আবার, অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ মেয়াদি সরকারি বন্ডে উপার্জন বৃদ্ধি হয়েছে। এমন সব অবস্থায় সবার মনে হচ্ছে যে, ইয়েনে বিনিয়োগ করাই সুরক্ষিত হবে। এর ফলে এই মুদ্রার উপর যথেষ্ট চাপ বেড়েছে। তুলনামূলক বিচার করলে দেখা যাবে, 10 বছরের জাপানি বন্ডে উপার্জন বেড়েছে 0.25%। কিন্তু, মার্কিন বন্ডে এই হার 1.63%।
অন্যদিকে, ইয়েনের অনুকূলে গেছে দু’টি বিষয়। এক, ইয়েনের ক্রয়ক্ষমতা। দুই, মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিকে জাপানি অর্থনীতির প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। পিপিআই নিয়ে যে-তথ্যাদি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এপ্রিলে জাপানি বন্ডে উপার্জনের হার ছিল ইতিবাচক। কিন্তু ফেড-এর ছাপাখানার কল্যাণে মার্কিন বন্ডের উপার্জন শূন্যের নীচে চলে যাচ্ছে।
গত চার সপ্তাহের মতোই বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞই (এখন তাঁরা হলেন 75%) মনে করেন যে, ইয়েনের অবস্থা এতটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে যে, ডলারের সামনে নিজের হারিয়ে যাওয়া স্থানকে ফিরে পেতে একে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অবশ্য, এই সময় খুব বড়সড় কোনও আশা করা হচ্ছে না। এখন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে 108.55, 108.30 ও 108.00। 107.50 সাপোর্টকে অনেক দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি 25% বিশেষজ্ঞের আশা, এই জুটি 110.00 জোনে ফিরে আসবে। নিকটতম রেজিস্ট্যান্স হল 109.35।
এইচ4 নিয়ে মিশ্র ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ডি1-এ উত্থানের দিকে পাল্লা কিছুটা ভারী (60%) আছে। দু’টি টাইম ফ্রেমেরই রৈখিক বিশ্লেষণ এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই জুটির সাইডওয়েজ মুভমেন্ট 108.30-110.00 চ্যানেলে থাকবে।
- ক্রিপ্টোকারেন্সি. এমন ধস নামার পর, কেউ এমন প্রত্যাশা করতেই পারেন যে, কোনও ভবিষ্যদ্বক্তা ছুটে এসে ক্রিপ্টো কারবারিদের শান্ত করে এই আশ্বাস দেবেন যে, সব কিছুর মধ্যে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, এখনও সময় আছে, সুদিন আসবেই।
এলম্যাক্স ইনস্টিটিউশনাল প্ল্যাটফর্ম কুশলী জোয়েল ক্রুগার মনে করেন, বহু দিন ধরেই বিটকয়েনের দরে বদল হওয়ার কথা ছিল। সে-ব্যাপারে অনুঘটকের কাজ করেছে ইলন মাস্কের এই মন্তব্য যে, বিটকয়েনের জন্য প্রচুর শক্তি খরচ করতে হয়। ক্রুগার লিখেছেন, “টেসলা ও ইলন মাস্ককে ঘিরে প্রচুর হৈচৈ হচ্ছে। তাঁদের মন্তব্যের জেরে বিটকয়েনের দর কমলেও, তা খুবই কম মাত্রায় কমেছে। কিন্তু বিটকয়েনের দাম চড়ার পর আবার নামতে থাকার ফলে যে ভাবে উত্তপ্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তা খুব বেশিই হয়েছে।” বিখ্যাত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্লেষক লার্ক ডেভিস মনে করেন, ইলন মাস্ক কী বলেছেন তা নিয়ে এবং বিটকয়েনের মূল্যহ্রাস নিয়ে বিটকয়েন কারবারিদের চিন্তা করার কিছু নেই। ডেভিসের পরামর্শ, 2017 সালে বিটকয়েনের দর যেভাবে উঠেছিল, সে দিকে চোখ রাখতে হবে। তখন বোঝা যাবে, বিটকয়েনের দর বারে-বারে পড়বে, আর মাথা তুলে দাঁড়াবে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ওই সময় 30-45 শতাংশের মধ্যে বিটকয়েনের দরে চারবার হেরফের হয়েছিল।
লার্ক ডেভিসের দৃঢ় বিশ্বাস, এই সময় যে-বৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে, তা প্রাথমিক পর্যায় মাত্র। তাঁর মতে, এ বছরের শেষাশেষি এই দর আরও অনেক উঁচুতে উঠবে। “আপনাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করুন।” এই কথা বলে তাঁর পরামর্শ: “বিটকয়েনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে এমনটা হয়েই থাকে। কয়েক সপ্তাহ পরেই বিটকয়েনের দর চড়চড় করে বাড়বে। তখন ফের সবাই বলতে শুরু করবেন যে, বিটকয়েনই হল নতুন যুগের টাকাপয়সা। এখন আতঙ্কের চোটে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রির সময় নয়; বরং আতঙ্কের চোটে তা কেনার সময়। এখন বিটকয়েন কেনার খুব ভাল সুযোগ পাওয়া গেছে।“
ডেভিসের কথাগুলোই ঠিক হবে বলে মনে করেন গ্লাসনোড-এর বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, বিটকয়েনের দর যতই নীচের দিকে গড়িয়ে পড়তে থাকবে, নতুন বিনিয়োগকারীরাও আতঙ্কের চোটে বাজারে বিটকয়েন ছেড়ে দিতে থাকবে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগকারীরা এই সুযোগে বিটকয়েনেই বিনিয়োগ করতে থাকবেন। যেমন, বিটকয়েনের দর পড়তে থাকার সুযোগ নিয়েছে মাইক্রোস্ট্র্যাটেজি নামে এক কোম্পানি। ব্যবসাপত্রের বিশ্লেষণ করাই হল তাদের কাজ। তারা এই সুযোগে 10 মিলিয়ন দরের 229টি অতিরিক্ত বিটকয়েন কিনে নিয়েছে। তারা গড়ে 43,663 ডলার দরে বিটকয়েন সংগ্রহ করেছে। “রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড” নামক বিখ্যাত বইয়ের লেখক তথা বিনিয়োগকারী রবার্ট কিয়োসাকিও বিটকয়েনের দর পড়তে থাকার মধ্যেই তা কেনার কথা ভাবছেন।
বিটকয়েনের দর পড়তে থাকা সত্ত্বেও আর্ক ইনভেস্ট-এর ফান্ড ম্যানেজার ক্যাটি উড বিটকয়েন সম্পর্কে নিজের ধারণাকে পালটে নিয়েছে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগামীতে এই মূল ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম 500,000 ডলার পর্যন্ত উঠবে। ক্যাটি উড মনে করেন, বিটকয়েনের দর যে এইভাবে পড়ছে, তা প্রচণ্ড আবেগের পরিণাম; বাজারের নিয়ম অনুযায়ী, তা কখনই মূল কারণ হতে পারে না। এর পাশাপাশি তিনি এদিকটার উপরও আলোকপাত করেছেন যে, শেয়ার বাজারের যে অংশটা সবচেয়ে বেশি অস্থির ও পরিবর্তনশীল, সেটাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে একটা হেরফের হয়েছে।
ক্যাটি উড অবশ্য এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, বিটকয়েনের দর 50 শতাংশ পড়ে যাওয়ার পরও বোঝা যাচ্ছে না, এই পতন ঠিক কোথায় গিয়ে থামবে এবং বিটকয়েনের দর ফের উঠতে শুরু করবে। উডের নানা রকম আশাব্যাঞ্জক কথায় ওইটুকুই চোনা।
মূল অল্টকয়েনেরও দর উঠবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন অনেকে। যেমন, গ্যালাক্সি ডিজিট্যাল নামক ক্রিপ্টো-ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা মাইক নোভোগ্র্যাৎজ নিউ ইয়র্কের একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ইথেরিয়ামের দর 5,000 ডলার পর্যন্ত উঠবে। এটা মূলত তিনটে কারণে হচ্ছে: পেমেন্ট অ্যাপ ও স্টেবল কয়েন, বিকেন্দ্রীকৃত অর্থ, নন-ফাঙ্গিবল টোকেন অর্থাৎ, ছত্রাক না-ধরা মুদ্রা (এনএফটি)। তিনি বলেছেন, “এর দর যে বাড়বে, সে ব্যাপারে আমি প্রায় 100 শতাংশ নিশ্চিত।” কেন তিনি এমন ভাবছেন, সে ব্যাপারে তাঁর ব্যাখ্যা, “এ তো সোজা-সাপটা অঙ্ক।”
এই পর্যোলাচনার পর থাকছে ক্রিপ্টো নিয়ে টোটকা। এখানে আমরা আপনাদের বলব, যাঁরা সংবাদের শিরোনামে থাকেন, তাঁদের নেতিবাচক মন্তব্যের পরও কীভাবে আপনি টাকা কামাতে পারবেন।
ইলন মাস্কের যে-টুইট ঘিরে বিতর্ক, সেটার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্রিপ্টো নিয়ে আগ্রহী লোকেরা মিলে নতুন একটি মুদ্রা বা টোকেন তৈরি করেছেন। যার নাম ফাক ইলন টুইট (ফাকেলন) ক্রিপ্টো নিয়ে আগ্রহী লোকেদের বক্তব্য, এর সর্বোচ্চ দাম হবে 100 কোটি কয়েন। ফাকেলন তৈরি হয়েছে বাইন্যান্স স্মার্ট চেন-এর ভিত্তিতে। ইতিমধ্যে এর ওয়ালেটের সংখ্যা 9,000-এরও বেশি। সবচেয়ে বড় কথা, এই কয়েনের দাম ইতিমধ্যে 2000 শতাংশ বেড়ে গেছে এবং এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, 0.005260 ডলারে এর লেনদেন চলছে।
নর্ড এফএক্স অ্যানালিটিক্যাল গ্রুপ
সতর্কীকরণ: এখানে যা বলা হয়েছে তা বিনিয়োগ সংক্রান্ত পরামর্শ নয় বা আর্থিক বাজারে কাজ-কর্মের কোনও পথ-নির্দেশ নয়। এসব কথার উদ্দেশ্য শুধু তথ্যের যোগান দেওয়া। আর্থিক বাজারে লেনদেন করাটা বেশ ঝুঁকির ব্যাপার এবং এখানে জমা করা পুরো টাকাই জলে চলে যেতে পারে।
ফিরে যান ফিরে যান