ইউরো/ইউএসডি: প্রচণ্ড অনিশ্চয়তা
- গোটা মার্চ জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ কারেন্সিগুলোর গতিবিধি নির্ধারিত হয়েছে এই বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে— রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও এনার্জি যুদ্ধ, এবং মুদ্রার রাশ টেনে ধরার গতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বন্ডে রিটার্নের মাত্রা বৃদ্ধি এবং ফেড-এর সুদের হার বাড়বে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন ডলার বেশ ভাল মতোই মজবুত হয়ে উঠেছে। ইউরো/ইউএসডি জুটি 07 মার্চে 1.0805-এ গিয়ে পড়েছিল, এটা ছিল মে 2020-এর মধ্যবর্তী সময়ের পর থেকে সর্বনিম্ন পতন। কিন্তু ডলারের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এবং এই জুটি পিভট পয়েন্ট 1.1000-এর বরাবর সাইডওয়েজের দিকে চলে গেছে। ফেড ম্যানেজমেন্টের আগ্রাসী মন্তব্য এই জুটিকে নীচের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তবে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলতে থাকা সশস্ত্র সংঘাতের নিরসন হওয়ার আশায় তা ওই সীমারেখার উপরে থেকে গেছে।
গত সপ্তাহেও উল্লিখিত বিষয়গুলোই ইউরো/ইউএসডি-র গতিবিধিকে নির্ধারণ করেছে। সোমবার, 28 মার্চ থেকে মঙ্গলবার 31 মার্চ পর্যন্ত এই জুটি 240 পয়েন্ট উঠেছিল। অর্থাৎ, 1.0944 থেকে 1.1184 পর্যন্ত। প্রথমে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের এই খবরে ইউরো মজবুত হয়ে উঠেছিল যে, চলতি বছরে ইসিবি হয়তো সক্রিয় ভাবে রিফাইনান্সিং রেট বাড়ানো শুরু করতে পারে। বাজারে অংশগ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক মানুষ যেন চাইছে যে, ইউরোপীয় নিয়ামক 2022-এর শেষাশেষি পর্যন্ত রেট চার গুণ বৃদ্ধি করুক। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ভাবতে শুরু করে দিল যে, ইসিবি হয়তো তেমন কোনও পদক্ষেপ করলেও করতে পারে, সেই জন্য ইউরোপে সরকারি বন্ডে রিটার্ন বেড়ে গেল।
পর দিন, অর্থাৎ 29 মার্চে ইস্তানবুল (তুর্কি)-তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা সফল হওয়ার আশা দেখা দিল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় সংঘের এনার্জি যুদ্ধের সফলতাও ইউরোপীয় এই মুদ্রার সহায়ক হয়ে উঠেছিল। এক সপ্তাহ আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ডিক্রি স্বাক্ষর করেছেন যে, ইউরোপে শুধুমাত্র রুবলের বিনিময়ে এনার্জি বিক্রি করা হবে। এখানে এই উদ্দেশ্য স্পষ্ট যে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থেকেও রুবলের এক্সচেঞ্জ রেটকে ঠিক রাখা। কিন্তু ইউরোপের প্রধান-প্রধান উপভোক্তারা খোলাখুলি ভাবে তা করতে অস্বীকার করল, এবং রাশিয়ার প্রধানও নিজের সিদ্ধান্তকে নিয়ে বিবেচনা করতে বাধ্য হলেন।
ইউরোর পক্ষে সব কিছুই ঠিক যাচ্ছিল, কিন্তু ওই সপ্তাহের দ্বিতীয়ার্ধেই এই গুজবের ফলে অবস্থা বেগতিক হতে শুরু করল যে, 2022-এ ইউরো-র রেট বৃদ্ধি নিয়ে যা বলা হয়েছে তা অনুমান মাত্র, এবং ইস্তানবুলেও শান্তি আলোচনাতেও পরিস্থিতি বদলের কোনও আশা দেখা যায়নি। ম্যাক্রো-ইকোনমিক পরিসংখ্যানও ডলারকে কিছুটা সহায়তা করেছে। এর ফলে ইউরো/ইউএসডি জুটির বৃদ্ধি থেমে গেছে, এবং তা নীচে নামতে-নামতে পাঁচ দিনের লেনদেনের শেষে 1.1045 লেভেলে গিয়ে শেষ হয়েছে, যা পিভট পয়েন্ট 1.1000 থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
ইউক্রেনের প্রতিকূল পরিবেশের ফল যে কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউরোপে হাইড্রোকার্বন কাঁচা মালের জোগান ও পেমেন্টের অবস্থাও ঝুলে রয়েছে। 24 মার্চ থেকে তেলের দামও 14 শতাংশ কমেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশের রিজার্ভগুলো থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় তেল বিক্রি করার যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তাতে বাজারে এমনই প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া গেছে। হোয়াইট হাউজ চাইছে, আগামী ছ’ মাস ধরে প্রতিদিন তারা 10 লক্ষ ব্যারেল তেল বিক্রি করবে। এই ভাবে মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভের প্রায় 50 বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাত্রায় তেল বিক্রি হতে চলেছে। এখানে একটা কথা উল্লেখ করতেই হয়, কম পরিমাণে হলেও রাশিয়া বর্তমানে গ্যাসের তুলনায় তেল বিক্রি করেই বেশি লাভ করছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ফলে রাশিয়ার এনার্জির উপর ইউরোপের নির্ভরতা কমে যাবে, তার ফলে রুশ অর্থনীতি আরও বেশি করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ফেড আরও একটা অনিশ্চয়তা তৈরি করে ফেলেছে। মার্কিন জিডিপি-র পূর্বাভাস নিয়ে সম্প্রতি পুনরায় বিবেচনা করা হয়েছে, তা মনে আছে নিশ্চয়ই। সেখানে নিয়ামকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে 2022-এ আর্থিক বৃদ্ধির হার 4 শতাংশ থেকে কমে 2.8 শতাংশ হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে, সুদের হার নিয়ে পূর্বাভাসেও বদল করা হয়েছে। আগে বলা হয়েছিল যে, এ বছরের শেষে সুদের হার 0.75-1.00 শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছবে। এই হারকে এখন বাড়িয়ে 1.75-2.00 শতাংশ করা হয়েছে। এ বছর আরও ছ’টা বৈঠক হওয়ার কথা আছে। সে দিকে লক্ষ রেখে বলা যেতে পারে, প্রত্যেক বৈঠকে এফওএমসি (ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি)-কে 0.25 শতাংশ করে হার বাড়াতে হবে।
কিন্তু এই দুটোর মধ্যে কোনওটাই শেষ কথা নয়। 2023-এর শেষে এই হারের পূর্বাভাসকে 1.50-1.75 শতাংশ থেকে বাড়িয়ে 2.75-3.00 শতাংশ করা হয়েছে। তার উপর আমরা হয়তো 2024-এ মুদ্রানীতির বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত আরও বেশ কিছু কাজ-কর্মের মুখোমুথি হতে পারি, যা কিনা শ্রমের বাজারকে বেশ বড়সড় ধাক্কা দেবে এবং তার ফলে বিপুল মাত্রার মন্দাও দেখা দিতে পারে। বুধবার, 6 এপ্রিলে বাজার হয়তো ডলারের ভবিষ্যৎ গতিবিধি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইঙ্গিত পাবে। ওই দিন এফওএমসি-র মার্চের বৈঠকের যাবতীয় কথাবার্তা প্রকাশ করা হবে।
এই মুহূর্তে 50 শতাংশ বিশ্লেষক ডলারের মজবুত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। 40 শতাংশের মতে, ইউরো/ইউএসডি জুটি ঊর্ধ্বমুখী হবে, এবং 10 শতাংশ নিরপেক্ষ অবস্থান অবলম্বন করেছেন। ডি1-এর অসিলেটরদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া গেছে। এঁদের মধ্যে 30 শতাংশ লাল ইঙ্গিত দিয়েছেন, 20 শাতংশ দিয়েছেন সবুজ ইঙ্গিত, এবং বাকি 35 শতাংশ ধূসর নিরপেক্ষ হয়ে আছেন। ট্রেন্ড ইন্ডিকেটরদের মধ্যে লাল সংকেতের দিকেই পাল্লা ভারী। সেখানে 85 শতাংশ লাল সংকেতের বিপরীতে সবুজ সংকেতের দিকে আছেন 15 শতাংশ।
বুল্স-এর নিকটতম টার্গেট হল 1.1100-1.1135 এরিয়াতে রেজিস্ট্যান্স জোনের ব্রেকডাউনের পর 1.1185-1.1200, 1.1280-1,1350 জোনে যাওয়া এবং 13 জানুয়ারি ও 10 ফেব্রুয়ারির 1.1485 এরিয়ার উচ্চতায় পৌঁছনো। বিয়ার্স আবার 1.0950-1.1000 সাপোর্ট ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে 100 পয়েন্ট নীচে যাওয়ার চেষ্টা অবশ্যই করবে। এতে সফল হলে তার পরবর্তী টার্গেট হবে 07 মার্চের নিম্ন হার 1.0805, 2020-র নিম্ন হার 1.0635, ও 2016-র নিম্ন হার 1.0325।
এফওএমসি-র মার্চের বৈঠকের যাবতীয় কথা প্রকাশ হওয়া ছাড়াও আসন্ন সপ্তাহে তুলনামূলক ভাবে সামান্য কিছু বিষয় প্রকাশিত হবে। সেগুলোর আমরা বিশেষ ভাবে এই দিকগুলোর কথা বলতে পারি— মঙ্গলবার, 05 এপ্রিলে মার্কিন পরিষেবা ক্ষেত্রের আইএসএম পিএমআই প্রকাশিত হবে, সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার, 07 এপ্রিলে ইউরোজোনে খুচরো বিক্রি সংক্রান্ত ডেটা প্রকাশিত হবে।
জিবিপি/ইউএসডি: 1.3100 বরাবর ইস্টের দিকে ট্রেন্ড
- গত সপ্তাহে ইউনাইটেড কিংডম থেকে যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে, তা বেশ পরস্পর-বিরোধী। বৃহস্পতিবার, 31 মার্চে প্রকাশিত ডেটা অনুযায়ী, 2021-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ব্রিটিশ অর্থনীতি 1.3 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কিনা তার পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিকের তুলনায় 1.0 শতাংশ এবং পূর্বাভাসের তুলনাতেও 1.0 শতাংশ বেশি। গত বছর জুড়ে অর্থনীতি 7.5 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কিনা 1941-এর পর থেকে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, 2020 সালে জিডিপি 9.4 শতাংশ কমে গিয়েছিল। তাই এখনও অতিমারির পূর্বের অবস্থা পুরোপুরি ফিরে আসেনি। সেই সঙ্গে, 2021-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকের ডেটা বলছে, দেশের কারেন্ট অ্যাকাউন্টের পরিমাণ 730 কোটি পাউন্ড। কিন্তু পূর্বাভাস ছিল 1760 কোটি এবং পূর্ববর্তী মূল্য ছিল 2890 কোটি।
ইউকে-তে প্রস্তুতকরণ ক্ষেত্রের কাজকর্মও প্রত্যাশার চেয়ে কম পরিমাণে হয়েছে। শুক্রবার, 01 এপ্রিলে যা নিশ্চিত করেছে আইএইচএস মার্কটি রিপোর্ট। মার্চে পারচেজিং ম্যানেজারস’ ইন্ডেক্স (পিএমআই) ছিল 55.2। কিন্তু পূর্বাভাস ছিল 55.5।
ইউরোর মতো জিবিপি/ইউএসডি-তেও একই কারণে বিনিয়োগকারী ও ট্রেডাররা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তার ফলে গোটা সপ্তাহ জুড়ে সংকীর্ণ পথ ধরে এই জুটি 1.3100 লেভেল বরাবর ইস্টের দিকে এগিয়ে গেছে। এ সপ্তাহে সর্বনিম্ন পয়েন্ট ছিল 1.3050 এবং সর্বোচ্চ পয়েন্ট ছিল 1.3182। সব শেষে 1.3112 পয়েন্টে গিয়ে থেমেছে।
আসন্ন সপ্তাহের পূর্বাভাসে 55 শতাংশ বিশেষজ্ঞ উত্থানের পক্ষে রায় দিয়েছেন, 35 শতাংশ পতনের পক্ষে এবং 10 শতাংশ নিরপেক্ষ থেকেছেন। মধ্যবর্তী পূর্বাভাস এখনও 1.3100 হরাইজন পয়েন্টে আছে। এ কথা সত্যি যে, গোটা এপ্রিলের পূর্বাভাসের দিকে তাকেলে এর দর 1.3235-এর জোন পর্যন্ত উঠবে। ডি1-এর বেশির ভাগ ট্রেন্ড ইন্ডিকেটরই নর্থের কথা বলেছেন। অসিলেটরদের মধ্যে 55 শতাংশ লাল সংকেত দিয়ে রেখেছেন, 20 শতাংশ সবুজ সংকেতের কথা বলেছেন এবং বাকি 25 শতাংশ ধূসর নিরপেক্ষ অবস্থানে আছেন। ইউরো/ইউএসডি-র মতো এখানেও ট্রেন্ড ইন্ডিকেটররা লালের দিকেই অনেক বেশি পাল্লা ভারী করে রেখেছেন। এই দিকে আছেন 90 শতাংশ ইন্ডেকটর।
নিকটতম সাপোর্ট দেখতে পাওয়া গেছে 1.3080-1.3100 এরিয়াতে, তার পর 1.3050-তে এবং 15 মার্চ (2021-2022’এরও একই সময়ে)-এর নীচের পয়েন্ট 1.3000-তে, এরপর আছে 2020-ক সাপোর্ট। রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল 1.3160, 1.3190-1.3215, তার পর 1.3270-1.3325, 1.3400, 1.3485, 1.3600, 1.3640।
ইউনাইটেড কিংডমের অর্থনৈতিক ঘটনাবলির মধ্যে আমরা এই ঘটনাগুলোর উপর বিশেষ ভাবে চোখ রাখব— সোমবার, 4 এপ্রিলে ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের গভর্নরের ভাষণ দেবেন; মঙ্গলবার, 05 এপ্রিলে কম্পোজিট পিএমআই এবং বিজনেস ইন্ডেক্স ইউকে সার্ভিসেস অ্যাক্টিভিটি প্রকাশিত হবে এবং বুঝবার, 06 এপ্রিলে প্রকাশিত হবে কনস্ট্রাকশন পিএমআই।
ইউএসডি/জেপিওয়াই: 125.09: আর কোনও অ্যান্টি-রেকর্ড নয়?
- ইয়েন একের পর এক অ্যান্টি-রেকর্ড ভেঙেই চলেছে। শুক্রবার, 25 মার্চে ইউএসডি/জেপিওয়াই 122.43-এ গিয়ে পৌঁছেছে, এবং তা সোমবার, 28 মার্চে আগে থেকেই 263 পয়েন্ট বেশি থেকে 125.9-এ ছিল। জাপানি কারেন্সিও সেই একই কারণে এক নাগাড়ে দুর্বল হচ্ছে: ব্যাঙ্ক অব জাপান তাদের অতি শিথিল মুদ্রানীতিকে বদলাতে চাইছে না। এর প্রধান হারুহিকো কুরোদা 22 মার্চে ফের বলেছেন যে, কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং (কিউই) কার্যসূচিতে কাটছাঁটের সম্ভাবনা নিয়ে, এবং সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলার সময় আসেনি। মনে রাখতে হবে, এই হার দীর্ঘ সময় ধরে নেতিবাচক মাত্রায়, অর্থাৎ, 0.1 শতাংশে আছে। সেই সঙ্গে, এই নিয়ামক গত সপ্তাহ জুড়ে সক্রিয় ভাবে জাপানের সরকারি বন্ড (জেজিবি) কিনে গেছে। এটা এক ধরনের মরিয়া প্রয়াস। তারা চাইছে, বন্ডের রিটার্ন যেন কোনও ভাবেই 0.25 শতাংশের টার্গেট লেভেলকে ছাড়িয়ে চলে যেতে না-পারে।
গত সপ্তাহে উচ্চ মাত্রা ছিল 125.09, যা কিনা 2015-র উচ্চ মাত্রা 125.86-এর কাছাকাছি। এই জুটি যদি আরও উপরে উঠতে পারে, তাহলে ক্রেডিট সুইসের স্ট্র্যাটেজিস্টদের মতে, দীর্ঘ মেয়াদে এই জুটির 135.20-এ পৌঁছনোর পথ খুলে যাবে, তারপর আরও উঁচুতে 147.00-153.00 পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। অবশ্য তাঁরা এই মতও পোষণ করেছেন যে, এখন যে সংশোধন শুরু হয়েছে তা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেরও জারি থাকবে। প্রথমে তা পৌঁছবে 119.79-এ এবং তারপর 119.09-এ। তারপর এই জুটি 119.00-125.00 রেঞ্জের ট্রেডিঙের দিকে চলে যাবে। ক্রেডিট সুইস এ-ও মনে করছে যে, এই জুটি 119.09-এর সাপোর্ট ভেঙে বেরিয়ে গেলে পুলব্যাক আরও গভীরে তলিয়ে গিয়ে 116.35-116.50 জোনে পৌঁছতে পারে।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই একই উচ্চ মাত্রার কথা বলেছেন রোবোব্যাঙ্ক স্পেশ্যালিস্টরাও। তাঁদের অনুমান এই জুটি 125.00-এর উপরে যাবে শুধুমাত্র এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে। তাঁরা মনে করেন, ফেডের নীতি আঁটোসাঁটো হওয়ার ফলেই ডলারের বর্তমান কোট ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে। সে জন্যই আসন্ন মাসগুলোতে এই জুটির বৃদ্ধি থমকে থাকবে। অবশ্য, সুদের হারে পার্থক্যের ফলে এবং কাঁচামালের আমদানিকারক হিসাবে জাপানের অবস্থান তৃতীয় ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পারে, এবং ইয়েন ক্রমশ দুর্বল হতে থাকবে। ইউএসডি/জেপিওয়াই চট করে 125.00-এর উপরে চলে গেলে ব্যাঙ্ক অব জাপানের পক্ষ থেকে কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং (কিউই) কর্মসূচি সংশোধনের সম্ভাবনা গুরুতর ভাবে বেড়ে যেতে পারে।
গত সপ্তাহে এই জুটি 125.09-এ উঠে যাওয়ার পর সংশোধন শুরু হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার, 31 মার্চে নিম্ন হার 121.27 রেকর্ড হয়েছে, তার পর এই জুটি ফের উপরে উঠে শেষ পর্যন্ত 122.54 পর্যন্ত উঠেছে।
50 শতাংশ বিশেষজ্ঞ আসন্ন সপ্তাহে যে-উত্থানের সম্ভাবনার কথা বলেছেন, তা বেশ মাঝারি মনে হচ্ছে, এবং এই জুটি হয়তো 124.00-124.50 জোনকে টার্গেট হিসাবে ধরে নিয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকবে। অন্যদিকে 25 শতাংশ বিশ্লেষকের মতে, এই জুটি আরও নীচের দিকে নামতে থাকবে। 25 শতাংশ বিশ্লেষক নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাসিক পূর্বাভাসের দিকে তাকালে দেখতে পাব, বিপুল সংখ্যক বিশেষজ্ঞ (58 শতাংশ)-এর অনুমান, জাপানি কারেন্সি মজবুত হবে, এবং এই জুটি 115.00-117.00 জোনে থাকবে বলে আশা করছেন।
নর্থের দিকে বেশ শক্তিশালী ব্রেকথ্রুর পর ডি1-এর ইন্ডিকেটররা প্রায় পুরোপুরি সর্বসম্মতি প্রকাশ করেছেন। ট্রেন্ড ইন্ডিকেটরদের 90 শতাংশ এবং অসিলেটরদের 100 শতাংশই উত্থানের পক্ষে রায় দিয়েছেন, অবশ্য 25 শতাংশ অসিলেট আগে থেকেই ওভারবট জোনে আছেন। নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল 123.20, 124.20, এবং 28 মার্চের উচ্চ মাত্রা 125.09। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, বুল্স এর পর 2015-র উচ্চ মাত্রা 125.86-এ পৌঁছনোর চেষ্টা করবে। নিকটতম সাপোর্ট হল 122.00, তারপর 121.30। এরপর আছে 120.60-121.40, 119.00-119.40, 118.00-118.35 জোন।
এ সপ্তাহে জাপানি অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে বলে মনে হচ্ছে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি: হোয়েল ও স্বল্প-মেয়াদি স্পেকুলেটররা কি করবেন
- বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতার ফলে স্টকে বৃদ্ধির হার বেড়েছে, যা ক্রমাগত ক্রিপ্টো বাজারকেও নিজের সঙ্গে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে টেনে তুলছিল। মার্চের মাত্র দ্বিতীয় সপ্তাহেই বিটকয়েনের 28 শতাংশ লাভ হয়েছে এবং ইথেরিয়ামের লাভ হয়েছে প্রায় 40 শতাংশ।
শুক্রবার, 25 মার্চে মূল ক্রিপ্টোকারেন্সি 45,000 ডলারের শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পৌঁছেছে। বছর শুরু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে পাঁচবার এমন হল। আগের চার বারে এর উপরের মাত্রায় এটা ঠিক মতো দাঁড়াতে পারেনি, বিটিসি/ইউএসডি নীচে গড়িয়ে পড়েছে। এবার মনে হচ্ছে, বুল্স অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জয় পেতে চলেছে: 28 মার্চে এই কোটগুলো 48.156 ডলারের উচ্চতায় স্থানীয় উচ্চ মাত্রা রেকর্ড করিয়েছে। এরপর অবশ্য এই জুটি এই জুটি 200 দিনের এসএমএ-তে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে আর উঠতে পারেনি। এই ভাবে থেমে যাওয়ার সবচেয়ে যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা হল এই যে, গত সপ্তাহের শেষে ডলার মজবুত হয়ে উঠেছিল।
01 এপ্রিলে এই প্রতিবেন লেখা পর্যন্ত শীর্ষ স্থানীয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রথমে 45,000 ডলারের জোনে ফিরে গিয়েছে, যার ফলে রেজিস্ট্যান্স থেকে সাপোর্টের দিকে পা বাড়িয়ে ফের 46,500 ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। মোট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন 2.140 ট্রিলিয়ন (এক সপ্তাহ আগে 1.995 ট্রিলিয়ন ডলার) পর্যন্ত উঠেছে। ক্রিপ্টো ফিয়ার অ্যান্ড গ্রিড ইন্ডেক্সও সামান্য বেড়েছে: 47 থেকে 50 পয়েন্ট পর্যন্ত।
ডেটাড্যাশ-এর সিইও নিকোলাস মের্টেনের মতে, লিভারেজ থাকা স্বল্প-মেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিটকয়েনের ভোলাটিলিটি বেড়েছে, এবং এর বৃদ্ধিকে সহায়তা করেছে ‘হোয়েলরা’। মের্টেন লিখেছেন, “গত দু’মাস ধরে ম্যাক্রো এনভায়রনমেন্টের চারদিকে প্রচুর আশঙ্কা ছিল।” ফেড সুদের হার বাড়াচ্ছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ, কোভিড-19’এর পরবর্তী তরঙ্গের আশঙ্কা— এইসব সমস্যার জন্যই ছোট বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নৈরাশ্য দেখতে পাওয়া গেছে। এই একই সময়ে অন্যদিকে “হোয়েলরা” অবশ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রি করেননি। আমরা আসলে দেখেছি, দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগকারীরা বেশি করে বিটকয়েন কিনেছেন বা নিজের কাছে ধরে রেখেছেন।
এমনই এক বিনিয়োগকারী হল সুপরিচিত সফ্টওয়্যার ডেভেলপার মাইক্রোস্ট্যাটেজি। এই কোম্পানি সম্প্রতি নিজের ক্রিপ্টো সম্পত্তির সাহায্যেই 205 মিলিয়ন ডলারের লোন পেয়েছে। এই লোন দিয়েছে আমেরিকার ব্যাঙ্ক সিলভারগেট। এই লোনের উদ্দেশ্য হল বিটকয়েন কেনা। বিটকয়েন ট্রেজারিজ ওয়েবসাইটের মতে, মাইক্রোস্ট্র্যাটেডির কাছে ইতিমধ্যেই 125,051 বিটিসি আছে, যার মূল্য প্রায় 6 বিলিয়ন ডলার। মাইক্রোস্ট্র্যাটেজির সিইও মাইকেল সেলরের বলেছেন, “বিটকয়েনে বিনিয়োগকারী পাবলিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে আমরা যাতে শীর্ষ স্থানে থাকতে পারি, তারই সুযোগ এনে দেবে এই লোন।”
মনে রাখতে হবে, ক্রিপ্টো সম্পত্তিকে জামানত হিসাবে নিয়ে শুধুমাত্র মাইক্রোস্ট্র্যাটেজিই লোন দেয় না। এই ধরনের লোনের জন্য সিলভারগেট ব্যাঙ্কের একটা বিশেষ এসইএন লিভারেজ প্রোগ্রাম আছে। যার অবলিগেশনের মোট পরিমাণ ইতিমধ্যেই 570 মিলিয়ন ডলার পার করে গেছে।
গ্লাসনোড-এর বিশ্লেষকদেরর মতে, ম্যাক্রো-ইকোনমিক ও ভূ-রাজনৈতিক অসংখ্য সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিয়ার মার্কেটের দ্বিতীয়ার্ধে বিটকয়েনের প্রবেশ করার প্রচুর সম্ভাবনা আছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় এই কথা থেকে যে, এই কয়েনগুলো 35,000-42,000 ডলারের রেঞ্জে সক্রিয় ভাবে জমিয়ে রাখা হচ্ছে, এবং 2021-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে যেসব বিটকয়েন কেনা হয়েছিল, সেগুলো খরচ হতে দেখা যায়নি। এক বছরেরও “পুরনো” বিটিসি গত আট মাসে 9.4 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং তা থেমেছে 62.9 শতাংশ রেকর্ড মাত্রায়। এইসব কয়েন যাঁদের কাছে আছে, তাঁরা গত 12 মাসে 50 শতাংশেরও বেশি মাত্রায় দু’বার সংশোধনের মুখে পড়েও এই সম্পত্তি হাতছাড়া করেননি। এই ইন্ডিকেটরের বৃদ্ধির হারকে 2018-2019’এ বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এর ফলে বিটকয়েনের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হয়তো আরও বাড়তে পারে।
এর পাশাপাশি গ্লাসনোডের বিশ্লেষকরা এই বলেও সতর্ক করেছেন যে, বিয়ার মার্কেটে বটমিং ও ইনভেস্টর ক্যাপিটুলেশন প্রায়ই খুব সময় সাপেক্ষ ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। তাই তাঁরা এই আবেদন জানিয়েছেন যে, বিয়ার মার্কেট শেষ হয়ে যাবে বলে এখনই ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।
বেশ কয়েক জন বিশেষজ্ঞের মতে, সাউথের দিকে নতুন করে শক্তিশালী ভাবে কারেকশন হওয়া এখন আর সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কোটেশনগুলোর দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখনও কোনও চালিকা শক্তি নেই, সব কিছুই এখন নির্ভর করছে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিক ঘুরে দাঁড়ানোর গতিবিধির উপর। 30,000 ডলারের লেভেল হয়তো বিটিসি/ইউএসডি জুটির বিয়ারিশ টার্গেট হতে পারে।
ফ্যাক্টর ট্রেডিঙের সিইও পিটার ব্র্যান্ডের মতে, আশাবাদী পূর্বাভাস নিয়ে সাবধান থাকা ভাল। কিংবদন্তি এই ট্রেডার তাঁর 629,400 অনুসরণকারীর উদ্দেশে টুইট করে জানিয়েছেন যে, সম্পর্তি বিটিসি যে ভাবে এগোচ্ছে, তা দেখে তাঁর 2019-এর এপ্রিলের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে, সেই সময় শীর্ষ স্থানীয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সির দর একেবারে 3,500 ডলারে গিয়ে পড়েছিল, যা নিজের বুল সাইকেলের প্রথম পর্যায় শুরু করেছিল। অবশ্য এই বিশেষজ্ঞ এই কথার উপর আলোকপাত করেছেন যে, টেকনিক্যাল ব্রেকথ্রু হলেও নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না যে, এই কয়েন 2019-এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে।
ব্র্যান্ড এই সতর্কতা দিয়েছেন, “চার্ট দেখে ভবিষ্যৎ অনুমান করা যায় না। চার্ট দেখে কোনও সম্ভাবনা আঁচ করা যায় না। চার্ট দেখে ট্রেডিং প্রোগ্রামে রিস্ক ম্যানেজ করার সুযোগ পাওয়া যায়, এবং তা খুব কাজেও আসে। চার্টের প্যাটার্নগুলো কাজে লাগতেও পারে, ব্যর্থ হতে পারে, বা বদলে যেতে পারে। লেজার আই ফের দেখা দিয়ে বিটিসি থেমে গেলে সাবধান হতে হবে।”
ডেভ দ্য ওয়েভ নামক ক্রিপ্টো বিশ্লেষক একটি মন্তব্য পোস্ট করেছে, তাতে বলেছে যে, সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে বৃহত্তর ঊর্ধ্বমুখী ত্রিভুজ তৈরি করছে বিটকয়েন, এবং তা সর্বকালের উচ্চ মাত্রা 69,000 ডলারে পৌঁছতে পারে।
মার্চের শেষ সপ্তাহের পূর্বাভাসে আমরা লক্ষ করেছি যে, বর্তমানে ইথেরিয়ামের অবস্থান বিটকয়েনের তুলনায় কিছুটা ভাল। উপরে বৃদ্ধির যে-হারগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোই এর প্রমাণ। বহু বিনিয়োগকারীই বিটিসির সঙ্গে ইটিএইচ কিনছেন। সেই সঙ্গে এই বিনিয়োগকারীরা ইথেরিয়াম মেননেট-এর দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত আপডেটের আশায় রয়েছেন। টেস্টনেটের সফল টেস্টিঙের পর মার্জ আপডেট এখন রোল-আউটের দিকে এগোচ্ছে। এটা লঞ্চ হওয়ার আগে, বার্নিঙের ফলে ইটিএইচ টোকেনে 500 কোটিরও বেশি ডলার বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। বার্নিং পর ইথেরিয়ামের সামগ্রিক জোগান কমে গেছে বলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এর দামে, এটা অল্টকয়েনের বাড়-বাড়ন্তে সহায়ক হয়েছে।
দশটি বৃহত্তম ইটিএইচ অ্যাড্রেসে অ্যাক্টিভেশনের পরিপ্রেক্ষিতে এই কয়েনের ভেল্যু বৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশ্লেষক ফার্ম স্যান্টিমেন্টের নতুন রিপোর্টের মতে, মোট যত ইথেরিয়াম সাপ্লাই হয়, তার 23.7 শতাংশ পর্যন্ত জমিয়ে নিয়েছেন হোয়েলরা। তাঁরা এখন তাঁদের এই সম্পত্তি ফেলে না-দিয়ে ইটিএইচকে অফলাইন স্টোরেজে পাঠাতে চাইবেন। একই রকম ট্রেন্ড 2017-র প্রথমার্ধে দেখা গিয়েছিল। এর পর আমরা পাঁচ বছর আগে দেখা দেওয়া হিড়িকের সময় বিখ্যাত অল্টকয়েনকে চলতে দেখেছিলাম।
এই পর্যালোচনার শেষে আমাদের ক্রিপ্টো লাইফ হ্যাক বিভাগে আরও একটা পরামর্শ দেওয়া হল। মনে রাখবেন, আমরা এখানে বাজারে টাকা কামানোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও অপ্রত্যাশিত উপায়গুলো নিয়ে কথা বলি।
আপনারা কখনও ভেবেছেন, শৌচালয় কী কাজে লাগে? আমরা আপনাদের বলছি, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইন করার জন্য! ঠিক সেটাই করছেন স্লোভাকিয়ার গ্যাব্রিয়েল কোজাক ও দুসান মাতুস্কা। তাঁরা অ্যামিটিএজ মাইনিং ফার্ম তৈরি করেছেন, সেটা মানুষ ও প্রাণীর বর্জ্য থেকে তৈরি বিদ্যুতে চলে। দুসান মাতুস্কা বলেছেন যে, “তাঁদের ডিভাইসগুলো মিথেনে চলে, যা জৈব পচন প্রক্রিয়ার সময়ে তৈরি হয়।” এখনও এই ধরনের কোনও আশঙ্কা দেখা দেয়নি যে, আগামীতে এই ধরনের বর্জ্যের আকাল পড়বে। তাই সারা বিশ্বে জ্বালানির দাম যতই বাড়ুক না-কেন, তাঁদের ফার্মে বিটিসি মাইনিঙের কাজে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। তা ছাড়া, তাঁরা পুনর্নবীরণযোগ্য জ্বালানির উৎস ব্যবহার করে পরিবেশের অনুকূল অবস্থায় এই কাজ করছেন, তাই এই শিল্পের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত অভিযোগকেও তাঁদের উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিচ্ছে।
নর্ড এফএক্স অ্যানালিটিক্যাল গ্রুপ
সতর্কীকরণ: এখানে যা বলা হয়েছে তা বিনিয়োগ সংক্রান্ত পরামর্শ নয় বা আর্থিক বাজারে কাজ-কর্মের কোনও পথ-নির্দেশ নয়। এসব কথার উদ্দেশ্য শুধু তথ্যের যোগান দেওয়া। আর্থিক বাজারে লেনদেন করাটা বেশ ঝুঁকির ব্যাপার এবং এখানে জমা করা পুরো টাকাই জলে চলে যেতে পারে।
ফিরে যান ফিরে যান