ইউরো/মার্কিন ডলার: ডলারের কেন পতন হল
- গত সপ্তাহটা বিরাট কোনও উত্থান ছাড়াই শেষ হল। ডলারের মূল্যের পতন অব্যাহত ছিল, এবং 30 মার্চের মধ্যে ইউরো/মার্কিন ডলারের লেনদেন ফের সেই জায়গাতেই ফিরে গেল যেখানে তারা সাত দিন আগে ছিল। স্থানীয় গুরু মান নির্ধারিত হয়েছিল 1.0925-এ এবং পাঁচ দিনের সময় পর্বটি শেষ হল 1.0842-এ।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঝুঁকি নেওয়ার যে প্রবণতা থাকে তার বৃদ্ধির প্রভাব ডলারের উপর ক্রমাগত পড়তে থাকবে: মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে মার্কিন ও ইউরোপীয় শেয়ারের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে। এশিয়ার বাজাও পিছিনে নেই: এই বাজার সহায়তা পাচ্ছে চিনের উৎপাদন শিল্পের ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ (PMI)-এর পরিসংখ্যানের থেকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাক্রো পরিসংখ্যান কিন্তু ভাল দেখাচ্ছে না। 2022-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকের জন্য এই দেশের GDP বৃদ্ধির হার ছিল 2.6%, যা কিনা পূর্বাভাস ও পূর্ববর্তী মূল্য (2.7%) এই উভয়ের চেয়ে কম। কিন্তু এর বিপরীতে বেকার ভাতা-সুবিধার জন্য প্রারম্ভিক আবেদনের সংখ্যা 191 হাজার থেকে বেড়ে 198 হাজার হয়েছে, এর পূর্বাভাস ছিল 196 হাজার। এই দুটি সূচক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্থর গতিতে চলছে।
তদুপরি, বাজারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটা কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে— যে-সংকটের জন্য আমেরিকান সিলভারগেট ব্যাঙ্ক, সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক, সিগনেচার ব্যাঙ্ক ও ইউরোপিয়ান ক্রেডিট সুইস-এর ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গেছে, তা ফেড-এর আগ্রাসী মনোভাবকে ঠান্ডা করে দেবে এবং এটা তাদেরকে আরও সাবধানে পা ফেলতে বাধ্য করবে। 30 মার্চ তারিখে এই মতকে নিশ্চিত করেছেন রিচমন্ড ফেড-এর প্রধান টমাস বারকিন। তিনি বলেছেন যে, ক্রেডিট সুইস দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ফলে সুদের হার ফের 50 বেসিস পয়েন্ট (bp) বাড়ানোর বিকল্পটি নাকচ হয়ে গেছে।
ইউরোপের ম্যাক্রো পরিসংখ্যান বেশ বৈচিত্রময় হয়ে উঠেছে। 30 মার্চ, বৃহস্পতিবার জার্মানির হারমনাইজড কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (HICP) প্রকাশ্যে এসেছে। মার্চে যা 7.8% বছর/বছর বেড়েছে। যা এক মাস আগের হারের (9.3%) চেয়ে কম, কিন্তু পূর্বাভাসের (7.5%) চেয়ে বেশি। এর ফলে, এইসব সংখ্যার দিকে তাকিয়ে, বাজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ECB-র কাজ হবে আর্থিক নীতিকে সক্রিয় ভাবে আঁটোসাঁটো করে তোলা এবং ইউরোর দর বাড়ানো, যাতে মূল্যস্ফীতির মোকাবিলা করা যেতে পারে। জার্মানির সরকারি বন্ডের ফলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ডের ফলনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে, এবং ইউরো/মার্কিন ডলার সাপ্তাহিক উচ্চ মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে। এর বিপরীতে শুক্রবারের পরিসংখ্যান পুনরায় নিশ্চিত করেছে যে নির্দিষ্ট একটা মাত্রা পর্যন্ত ডলারের পতন হতে থাকবে। কেননা, ইউরোস্ট্যাট এই প্রতিবেদন পেশ করেছে যে, ইউরো অঞ্চলে হারমনাইজড কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স (HICP) ফেব্রুয়ারিতে ছিল 8.5% বছর/বছর এবং মার্চে তা নীচে নেমে হয়েছে 6.9% বছর/বছর (পূর্বাভাস ছিল 7.1%)।
শুক্রবার এটি এবং অন্যান্য পরিসংখ্যান (যেমন US পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার ইন্ডেক্স)-এর প্রতি বাজারের প্রতিক্রিয়া বরং ছিল বেশ ঝিমোনো। কেননা, এই দিনটিই ছিল 2023-এর প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষ দিন, যখন কিনা বাজারের বহু অংশগ্রহণকারীই নিজেদের প্রতিবেদনে ইতিমধ্যে ত্রৈমাসিকের ফলাফল নথিবদ্ধ করে ফেলেছিলেন।
ইউরো/মার্কিন ডলারের জন্য মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি সম্ভাবনার প্রসঙ্গে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা (BoA)-র অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, “বাজার ফের লোকোমোটিভের আগে দৌড়চ্ছে, বিভিন্ন মূল্যের উপর ফেড-এর প্রাথমিক দর ছাঁটাইকে সঙ্গে করে নিয়ে, এই সব প্রত্যাশার পুনরায় মূল্যায়নের চাপ স্বল্প মেয়াদে উক্ত দুই মুদ্রার উপর পড়বে।” BoA-র পূর্বাভাস, “বছরের প্রথমার্ধে ইউরো/মার্কিন ডলারের দর হবে 1.05, এ বছর শেষ হতে-হতে তা বেড়ে হবে 1.10, এবং 2024 শেষ হতে-হতে তা হবে 1.15, তা সত্ত্বেও যা কিনা দীর্ঘ মেয়াদি ভারসাম্য মানের চেয়ে কম।” BoA-র ব্যাখ্যা, “আমরা অনুমান করছি যে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সম্প্রতি সবচেয়ে বাজে যে টালমাটাল অবস্থা দেখা দিয়েছিল, তা আমরা পিছনে ফেলে এসেছি, কিন্তু আমরা ইউরোর জন্য দুটি ঝুঁকি নিয়ে চিন্তায় আছি: ইউক্রেনে চলতে থাকা সংঘর্ষ এবং ইতালির বাজারে আগ্রাসী ECB-র সম্ভাব্য চাপ।”
31 মার্চ, শুক্রবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে আমরা যদি নিকট মেয়াদের আভাস দিতে চাই, তাহলে বলতে হয়, 55% বিশ্লেষক মনে করছেন ডলার আরও দুর্বল হবে, 35%-এর মতে এই মুদ্রা মজবুত হবে, বাকি 10% নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন। D1 নিয়ে 90% অসিলেটর সবুজ সংকেত দিয়েছেন, এবং বাকি 10% দিয়েছেন লাল সংকেত। প্রবণতার সূচক প্রদানকারীদের মধ্যে 80%-এর পরামর্শ ক্রয়ের সপক্ষে এবং 20% আছেন বিক্রয়ের সপক্ষে। এই মুদ্রা-জুটির নিকটতম সমর্থন অবস্থিত হয়েছে 1.0800-তে, তারপর 1.0740-1.0760, 1.0680-1.0710, 1.0620 ও 1.0500-1.0530। 1.0865, 1.0925, 1.0985-1.1030, 1.1110, 1.1230, 1.1280 ও 1.1355-1.1390’তে প্রতিরোধের মুখে পড়বে উত্থান।
আসন্ন সপ্তাহের ঘটনাগুলির মধ্যে রয়েছে, 03 এপ্রিল সোমবারে জার্মানির উৎপাদন ক্ষেত্রের ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদ সংক্রান্ত উপাত্ত প্রকাশ। এর পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজার থেকে একের পর এক তথ্যের বান আসতে থাকবে। যেমন 4 এপ্রিল মঙ্গলবার জানা যাবে উন্মুক্ত JOLTS কর্মখালির সংখ্যা সম্পর্কিত পরিসংখ্যান। বুধবার ADP-র থেকে জানা যাবে, অ-কৃষি ক্ষেত্রে কত সংখ্যক মানুষ নিযুক্তি হয়ে আছেন। 7 এপ্রিল শুক্রবার এই উপাত্ত হাতে পাব যে বেকারত্বের হার কত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্চ্রের কৃষি ক্ষেত্র (NFP)-র বাইরে কত সংখ্যক নতুন চাকরি সৃষ্টি হল। একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে 07 এপ্রিল হল গুড ফ্রাইডে। মানে ছুটি থাকবে। তাই যেসব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হবে বলে উল্লেখ করা হল, সেগুলির সংখ্যা-পরিসংখ্যান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানা যাবে আলোচ্য সপ্তাহের পরের সপ্তাহে। মানে 10 এপ্রিল তারিখে।
ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং/মার্কিন ডলার: এই জুটির বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে কি?
- ডলার শুধু ইউরোর সামনেই দুর্বল হয়ে পড়েনি, বরঞ্চ ব্রিটিশ পাউন্ডের সামনেও দুর্বল হয়ে গেছে। 08 মার্চের পর থেকে মাত্র তিন সপ্তাহে ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং/মার্কিন ডলার 600 পয়েন্টেরও উপরে উঠেছে। শুধুমাত্র 1.2425-1.2450 অঞ্চলের মুখ্য প্রতিরোধই এই বৃদ্ধিকে থামাতে পারত। কিন্তু পাউন্ডের কি আরও উপরে ওঠার মতো শক্তি আছে?
23 মার্চ, ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড (BoE) মুখ্য সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে 4.25% করেছে (তুলনামূলক ভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের বর্তমান দর হল 5.00%)। এই একই সময়ে, এই দেশে মূল্যস্ফীতির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। যুক্তরাজ্য হল একমাত্র উন্নত দেশ যেখানকার অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির হার বলতে গেলে সারা বছরে নীচেই নামেনি এবং তা দুই অঙ্কের ঘরে বহাল থেকেছে, যা কিনা বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। মার্চে কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স (CPI) ছিল 10.4%, এবং বেসিক CPI ছিল 6.2%। সুতরাং, বহু বিশ্লেষকই মনে করছেন যে, BoE তাদের আসন্ন বৈঠকগুলিতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হবে সূদের হার বৃদ্ধি করা। এ ছাড়াও, এই নিয়ামক সংস্থাটিকে দীর্ঘ সময় ধরে এই হার উচ্চ মূল্যে ধরে রাখতে হবে, যদিও তা দেশের অর্থনীতিকে রুদ্ধ করে দেবে। (GDP বৃদ্ধির হার এখন প্রায় শূন্য মাত্রায় রয়েছে। তাই, 31 মার্চে প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে যে 2022-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকে GDP বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র 0.1%)।
অর্থনীতির উপর চাপ থাকার ফলে বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক পাউন্ডের সীমিত সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছেন। অবশ্য, বহু কৌশলীর মনে করছেন যে মন্দাকে এড়িয়ে যাওয়া হবে, এবং পাউন্ডকে উপরে তুলে দেওয়ার জন্য দর বাড়ানো অব্যাহত থাকবে। তাই, ANZ ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদগণ আশা করছেন যে এ বছরের শেষের দিকে এই মুদ্রা-জুটি 1.26 পর্যন্ত উঠবে। ফ্রেঞ্চ সোসিয়েট জেনারেল-এর অর্থনীতিবিদগণ যা পূর্বাভাস দিয়েছেন, সেটিকে আরও সাহসী বলে মনে হচ্ছে। তাঁদের মতে, GBP/মার্কিন ডলার অনুসরণ করবে ইউরো/মার্কিন ডলারকে এবং ক্রমে 1.30 পর্যন্ত উঠবে।
গত সপ্তাহে এই জুটি বন্ধ হয়েছে 1.2330-তে। এই মুহূর্তে, 45% বিশেষজ্ঞ ডলারের পক্ষ নিয়েছেন, একই সংখ্যক (45%) বিশেষজ্ঞ আবার পক্ষ নিয়েছেন পাউন্ডের, বাকি 10% বলছেন, ‘দেখা যাক কী হয়’। D1 নিয়ে অসিলেটরদের মধ্যে যে ক্ষমতার ভারসাম্য দেখা যাচ্ছে তা হল: 85% সবুজ সংকেতের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, 15% নিরপেক্ষ ধূসরের পক্ষে চলে গেছেন। প্রবণতার সূচক প্রদানকারীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে যে, সবাই সবুজ সংকেতের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। মানে পুরো 100%। আলোচ্য মুদ্রা-জুটির জন্য সহায়ক মাত্রা ও জোনগুলি হল 1.2270, 1.2200, 1.2145, 1.2075-1.2085, 1.2000-1.2025, 1.1960, 1.1900-1.1920, 1.1800-1.1840। এই জুটি উপরের দিকে উঠতে থাকলে 1.2390-1.2425, 1.2450, 1.2510, 1.2575-1.2610, 1.2700, 1.2750 ও 1.2940 স্তরগুলিতে প্রতিরোধের মুখে পড়বে।
যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যানের মধ্যে রয়েছে 3 এপ্রিল, সোমবার প্রকাশিত হতে চলা দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইন্ডেক্স (PMI)-এর প্রকাশ। পরিষেবা ক্ষেত্রের PMI-এর মান এবং সেই সঙ্গে এই সূচকের সংযুক্ত মানও বুধবারে জানা যাবে। তবে আমরা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে যুক্তরাজ্যে শুক্রবার ছুটি থাকবে।
মার্কিন ডলার/জাপানি ইয়েন: এই গ্রীষ্মে BoJ কি তার গতিপথ বদল করবে?
- ডলারের নিরিখে জাপানি ইয়েন তার DXY ‘সতীর্থদের’ তুলনায় একেবারে বিপরীত প্রবণতা প্রকাশ করেছে। গত সপ্তাহে ইউরো ও পাউন্ড তাদের অবস্থান মজবুত করলেও, ইয়েন নিজের শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এটা দুটো কারণে হয়েছে। আমাদের মতে: প্রথমত, ইয়েনের উপর এই বিষয়টার চাপ পড়েছে যে 31 মার্চ শুধুমাত্র একটি ত্রৈমাসিকেরই সমাপ্তি নয়, বরং জাপানে তা একটি অর্থবর্ষেরও সমাপ্তি। দ্বিতীয়ত, ব্যাঙ্ক অব জাপান (BoJ)-এর অত্যধিক নম্র নীতি। এই দিকটির কথা ইতিমধ্যে বহু বার বলা হয়েছে।
এই নিয়ামক সংস্থার শীর্ষ পদের দায়িত্ব এপ্রিল 09-এ গ্রহণ করেছিলেন কাজুও উয়েডা। নবনিযুক্ত প্রধান বারে-বারে বলে গিয়েছেন যে তিনি তাঁর পূর্বসূরি হারুহিকো কারুওডার ধীরে চলো নীতির পথ ধরেই চলবেন। তাঁর এমন মন্তব্যের ফলে অবশ্যম্ভাবী রূপে জাপানের জাতীয় মুদ্রার প্রতি কেউ আকর্ষণ বোধ করেননি।
2022-এর নভেম্বর থেকে আর্থিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ার ফলে ইয়েনকে নিরাপদ ভেবে এটি কেনার ঢেউ উঠেছিল। অবশ্য, সোসিয়েট জেনারেল-এর কৌশলীরা লিখছেন যে, এই ‘নিরাপদ আশ্রয়’-এর মধ্যেও এখন পরিবর্তন দরকার। মার্কিন ডলার/জাপানি ইয়েনের বড়সড়় পতনকে থামানোর জন্য এই মুদ্রা জুটিকে নিয়ে BoJ-র পক্ষ থেকে এখন পদক্ষেপ করতে হবে। এই কেন্দ্রীয় ব্যঙ্ক যদি কিছুই না-করে, তাহলে মার্কন ডলার/জাপানি ইয়েন আরও হয়তো একটু উপরে উঠবে। সোসিয়েট জেনারেল মনে করে যে, জুন মাসে BoJ-র আর্থিক নীতিতে পরিবর্তন আনার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে, আলোচ্য মুদ্রার জুটি 125.00 স্তরে গিয়ে পৌঁছবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি অনেকটা শিথিল হলে সেটিও জাপানি মুদ্রার পক্ষে সহায়ক হবে।
ANZ ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদদের মন্তব্যও একই রকম শোনাচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, “এই মুহূর্তে [BoJ] নীতি বদলাবে বলে মনে হচ্ছে না।” তাঁরা এ-ও লিখেছেন, “যদি তা বদলায়, আমাদের মনে হচ্ছে এ বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পর তা হতে পারে, তাহলে জাপানি ইয়েন আরও অনুকূল ফলন প্রভেদে উঠতে থাকবে। আমাদের মনে হচ্ছে এ বছরের শেষের দিকে মার্কিন ডলার/জাপানি ইয়েন ক্রমশ নামতে-নামতে 124.00-তে গিয়ে পড়বে।”
এখানে অবশ্য ব্যাঙ্ক অব জাপানের ডেপুটি গভর্নর শিনিচি উচিদার একটি মন্তব্যের কথা মনে রাখতে হবে। তিনি 29 মার্চ বুধবার বলেছেন যে, বন্ডের ফলনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে আর্থিক নীতিতে অদল-বদল করা সম্ভব হবে তখনই, যখন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মূল্য স্থিরতার দিকটির উন্নতি হবে, যা আর্থিক উদ্দীপনার দিকটিকে ক্রমশ হ্রাস করার বিষয়টিকে ন্যায্যতা দেবে।
তাহলে, 124.00-125.00 জোনে গিয়ে মার্কিন ডলার/জাপানি ইয়েনের পড়ে যাওয়ার বিষয়টি এখনও একটি বড় প্রশ্ন। গত সপ্তাহে এই জুটি থেমেছিল 132.80 স্তরে। এই মুহূর্তে তাৎক্ষণিক সম্ভাবনার প্রসঙ্গে 40% বিশেষজ্ঞের মত পড়েছে এর সপক্ষে যে আলোচ্য মুদ্রার জুটি আরও উপরের দিকে উঠতে থাকবে। 30% এর বিপরীত মত প্রকাশ করেছেন, এবং বাকি 30% কোনও ধরনের পূর্বাভাস দেওয়ার থেকে বিরত থেকেছেন। D1 নিয়ে 15% অসিলেটর পতনের পূর্বাভাস দিয়েছেন, এর বিপরীত আভাস দিয়েছেন 40%, এবং 35% নিরপেক্ষ থেকেছেন। প্রবণতার সূচক প্রদানকারীদের মধ্যে 40% উত্থানের পক্ষে রায় দিয়েছেন, বাকি 60%-এর রায় গিয়েছে পতনের পক্ষে। নিকটতম সহায়ক স্তর অবস্থিত হয়েছে 131.25 জোনে। তারপর রয়েছে 130.50, 129.70-130.00, 128.00-128.15 ও 127.20 স্তর ও জোন। প্রতিরোধ স্তর ও জোনগুলি হল 133.00, 133.60, 134.00-134.35, 135.00-135.35, 135.90-136.00, 137.00, 137.50 ও 137.90-138.00।
জাপানের অর্থনীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনও ম্যাক্রো উপাত্ত এই সপ্তাহে প্রকাশিত হচ্ছে না। ক্যালেন্ডারে একটি দিনকেই চিহ্নিত করে রাখতে হবে এবং সেটি হল 03 এপ্রিল সোমবার। সেদিন 2023-এর প্রথম ত্রৈমাসিকের তাংকান মেজর প্রোডিউসার্স সেন্টিমেন্ট ইন্ডেক্স প্রকাশ করা হবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি: বাইন্যান্সের কী হবে?
- যে-সংকটের জন্য সিলভারগেট, সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক (SVB) ও সিগনেচারকে পঙ্গু করে দিয়েছে এবং ক্রেডিট সুইসকে ধাক্কা দিয়েছে, তা মনে করে দিয়েছে যে বিকেন্দ্রীকৃত অর্থ কেন তৈরি করা হয়েছিল, তাই এই সংকট নিশ্চিত ভাবে ক্রিপ্টো বাজারের পক্ষে সহায়ক হয়ে উঠেছে: অবশ্য, বিনিয়োগকারীদের ভয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে দেখা দেওয়া সংকটের নবতরঙ্গে ধীরে-ধীরে ভাটা পড়ছে, যা স্পষ্টতই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বিটকয়েন/মার্কিন ডলারের চার্টে। 10-17 মার্চে লেনদেনের সময় ডিজিটাল সোনা প্রায় 45% ওজন বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হলেও, গত দু’সপ্তাহ ধরে এটি $29,000-এর গুরুতর প্রতিরোধকে উড়িয়ে দেওয়ার বিফল চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিটকয়েনকে শুধু উপরের দিকে উঠলেই হবে না, তাকে উক্ত সীমানার উপরে উঠে শক্ত পায়ে দাঁড়িয়েও থাকতে হবে। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে, পাকাপোক্ত ভাবে দাঁড়ানোর পরেই বিটকয়েন তার পরবর্তী লক্ষ্য $35,000-এ গিয়ে পৌঁছতে পারবে। বিটকয়েনেক সহায়ক হল $26,500 স্তর।
27 মার্চ, সোমবার বাইন্যান্সের বিরুদ্ধে CFTC (U.S. কমোডিটি ফিউচার্স ট্রেডিং কমিশন) মামলা ঠুকে দেওয়ার পরেও উক্ত সহায়ক স্তর বহাল রয়েছে। বাইন্যান্সের বিরুদ্ধে CFTC-র অভিযোগ, এই ক্রিপ্টো বিনিময় সংস্থা অ-নথিভুক্ত ভবিষ্যৎ ও বিকল্প লেনদেনের আয়োজন করছে, বিধি-নিষেধকে এড়িয়ে মার্কিন গ্রাহকদের সাহায্য করছে, অবৈধ কার্যকলাপে (যেমন হামাসের অনুকূলে কাজ করা, বিভিন্ন দেশে এই হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে শনাক্ত করা হয়েছে) এবং বাজারে নয়ছয় করার কাজে সাহায্য করছে।
উক্ত অভিযোগের পাশাপাশি বিশ্লেষক কোরি সোয়ান এই তত্ত্ব খাড়া করেছেন যে বাইন্যান্স হল বাইন্যান্স চ্যাংপেং ঝাও (CZ) ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা এবং যে কিনা এতকাল ধরে বিটকয়েনকে $12,000-এ নামানোর চেষ্টা করে এসেছে। সোয়ান লিখেছেন, “বিটকয়েনের বিরুদ্ধে CZ লার্জ শর্ট পজিশন ধরে রেখেছিলেন, তিনি $12,000-এর আশায় আছেন, এবং অসুরক্ষিত BUSD ও অসুরক্ষিত অল্টকয়েন দিয়ে তিনি নিজের ব্যক্তিগত বিশাল লেনদেনর অর্থ পরিশোধ করছেন।”
এই মুহূর্তে, বাইনান্সের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কারও-কারও মতে, কেউ চায় না যে সুবিশাল সংস্থাটির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হোক, কেননা এ রকম হলে গোটা ক্রিপ্টো শিল্পই ভেঙে পড়বে। কারও-কারও আবার প্রবল বিশ্বাস, CFTC এই ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ সংস্থাটির জন্য সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রার্থনা করবে। আদালতের বাইরে যদি মামলার নিষ্পত্তি করা হয়, সেই ক্ষেত্রেও বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতার পকেট থেকে শ’-শ’ কোটি ডলার জরিমানা হিসাবে বেরিয়ে যাবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর কাজ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। যদি বিচার চলে এবং যদি প্রমাণ হয় যে বাইনান্স ও তার ম্যানেজমেন্ট দোষী, তাহলে সারা বিশ্বে তাদের বহু গ্রাহক এবং আর্থিক প্রতিপক্ষ সঙ্গে-সঙ্গে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
শিল্পোদ্যোগ প্রভাবকদের নিয়ে CNBC যে-সমীক্ষা চালিয়েছে, সেই সমীক্ষার মতে, এই পর্যায়ে প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যৎ নিয়ে বাজারে উত্থান বজায় থাকবে। চাই টিদার-এর CTO পাওলো আর্ডোইনো মনে করেন যে বিটকয়েনের সর্বকালের সেরা উচ্চমাত্রা ‘$69,000’-র রিটেস্ট হতে পারে। জেমিনি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর মার্শাল বিয়ার্ডের অনুমান, এ বছর এই কয়েন $100,000-এ গিয়ে পৌঁছতে পারে। তাঁর মতে, প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি যদি তার আগের সর্বোচ্চ মাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়, তাহলে “তার চেয়ে আরও উপরে যেতে এই কারেন্সি খুব বেশি সময় নেবে না।” অবশ্য, নতুন উত্থানের স্রোত আসার জন্য চাই শক্তিশালী কিছু নতুন-নতুন অনুপ্রেরণা। যা আসতে হবে অর্থনীতি ও সংবাদ এই উভয় দিক থেকে। কিন্তু প্রথমটিতে তো নয়ই, এমনকি দ্বিতীয়টিতে তার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ব্লুমবার্গের কৌশলী মাইক ম্যাকগ্লোন মনে করেন যে 2023-এ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠবে সোনা ও বিটকয়েন। মূল্যবান ধাতুটির একটি মর্যাদা আছে যে এটি হল সবচেয়ে নিরাপদ সম্পত্তি, ধাতুটি সেই মর্যাদা ধরে রাখবে। সোনার এক ট্রয় আউন্সের দাম শীঘ্রই $2,000 ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে বিটকয়েনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে। এটিকে প্রচলিত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার থেকে একটি স্বতন্ত্র মাধ্যম হিসাবে দেখা হচ্ছে। ম্যাকগ্লোনের তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বের অর্থনীতির যত অবনতি হবে, ততই এমন বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, যাঁরা নিজেদের পুঁজিকে বিটকয়েন, সোনা এবং সেই সঙ্গে ট্রেজারিতে জমিয়ে রাখতে চান।
ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ধস নামার বিষয়টি 1929 সালের সংকটের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তাই ফেজ এখন আর্থিক নীতিকে কঠোর করছে। ব্লুমবার্গের কৌশলী এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করেছেন যে, সম্প্রতি সুদের হার বৃদ্ধির পর বিটকয়েনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও বহু পর্যবেক্ষক মনে করছেন এর দাম পড়ে যাবে। ব্লুমবার্গের কৌশলীর মতে, বিটকয়েনের ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টিকে ইতিবাচক সংকেত হিসাবে দেখা যেতে পারে। কেননা, বিশ্ব জুড়ে অনিশ্চয়তার পরিবেশে আরও বেশি সংখ্যক লেনদেনকারী ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে থাকবেন।
প্লেস হোল্ডারের অংশীদার এবং আর্ক ইনভেস্ট ক্রিপ্টো কোম্পানির প্রাক্তন প্রধান ক্রিস বার্নিস্ক যা মনে করেন তা মিলে যায় মাইক ম্যাকগ্লোনের ধারণার সঙ্গে। বার্নিক্সের মতে, এখনই বিটকয়েন ও ইথেরিয়াম কেনার সময়, কেননা এখন যে সংকট চলছে, এই সময়ের জন্যই এগুলি তৈরি করা হয়েছিল।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট ও বিলিয়নেয়ার টিম ড্রেপারও অনুরূপ পরামর্শ দিয়েছেন। আন্ত্রপ্রিনিয়রদের উদ্দেশে ড্রেপার একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন যে, কোম্পানিগুলি এখন আর শুধুমাত্র একটি ব্যাঙ্ক বা নিয়ামকের ভরসায় বসে থাকলে হবে না। তাঁর মতে, “বহু বছরের মধ্যে এই প্রথম বার, বিভিন্ন সরকার শুধু এই জন্য বহু ব্যাঙ্ককে নিজের দখলে নিচ্ছে যে সেগুলির দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর্থিক ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান একটি প্রভাব এবং অতি-নিয়ন্ত্রণের মতো অদক্ষ পরিচালন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা হল বিটকয়েন।”
ড্রেপারের পরামর্শ, স্থানীয় ব্যাঙ্কে এবং আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কে দু’টি আলাদা-আলাদা অ্যাকাউন্টে স্বল্প মেয়াদি আমানতে টাকা জমা রাখতে হবে। ছ’মাসের বেশি সময় ধরে যেন রাখা না-হয়। তাঁর মতে, প্রতিষ্ঠানগুলিকে যে-কাজটি করতে হবে তা হল, দুটি বেতন তহবিলের সম পরিমাণ অর্থ বিটকয়েন বা অন্যান্য ডিজিটাল সম্পত্তিতে স্থানান্তর করা। অনিশ্চিত পরিস্থিতির জন্য এমন ব্যবস্থার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেছেন বিলিয়নেয়ার ড্রেপার। তাঁর মতে, ‘সংকট এসে উপস্থিত’ হলেও তাঁকে তাঁর কর্মীদের বেতন তো মেটাতেই হবে।
সব সময়ের মতো এবারও ‘ক্রিপ্টো গ্রেভডিগার্স’দের কথা শোনা হয়েছে। গ্রাইন্ডিং পোয়েট ছদ্মনামে একজন বিশ্লেষক মনে করেন যে, ‘2018-র পতনের রিটেস্ট অনিবার্য’ এবং ‘নতুন লক্ষ্যমাত্রা হল $3,150।’ প্রখ্যাত গোল্ড বাগ ও বিটকয়েন ক্রিটিক পিটার স্কিফ নিজের অবস্থানেই অনড় হয়ে আছেন। 2017 সালে স্কিফ এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, এই কয়েন শীঘ্রই পুরোপুরি মূল্যহীন হয়ে যাবে। গত 6 বছরেও এই আন্ত্রপ্রিনিয়র নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। এখন 2023-এর মার্চে তিনি বলেছেন, “বিটকয়েনের দাম ধীরে-ধীরে এমন জায়গায় যাচ্ছে যে তার দাম একদমও বাড়েনি।”
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ফলিত অর্থনীতির অধ্যাপক স্টিভ হানকে ফের বিটকয়েনের সমালোচনা করে বলেছেন যে, প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সির মৌলিক দর হল শূন্য। তিনি বিটকয়েনকে বলেছেন যে এটি হল অত্যন্ত অনুমান-নির্ভর একটি সম্পত্তি যার কোনও অর্থনৈতিক মূল্য বা উপযোগিতা নেই।
হানকে-কে কেক ডেফি-র CEO জুলিয়ান হস্প বলেছেন যে, বিটকয়েনকে নিয়ে তর্ক আছে, কিন্তু এর অবশ্যই একটা মূল্য আছে। হস্প-এর মতে, নিঃসন্দেহে এমন মানুষ আছেন যাঁদের বিটকয়েন প্রয়োজন, তাই এমন দাবি করা মূলত ভুল যে প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সিটির কোনো মূল্য নেই।
আমরা হস্প-এর সঙ্গে সহমত হতে চাই। কেননা, এই পর্যালোচনা লেখার সময়, অর্থাৎ, 31 মার্চ, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিটকয়েনের অবশ্যই মূল্য রয়েছে এবং তা খুবই নির্দিষ্ট একটি অঙ্কে প্রকাশিত হয়েছে। সেটি হল $28,375 প্রতি কয়েন। গত এক সপ্তাহ ধরে ক্রিপ্টো বাজারে মোট মূলধনীকরণ $1.169 ট্রিলিয়ন থেকে বেড়ে $1.185 ট্রিলিয়ন হয়েছে। সাত দিনে ক্রিপ্টো ফিয়ার অ্যান্ড গ্রিড ইন্ডেক্সও 61 পয়েন্ট থেকে বেড়ে 63 পয়েন্ট হয়েছে এবং তা এখন গ্রিড জোনে আছে।
নর্ডএফএক্স অ্যানালিটিক্যাল গ্রুপ
বিজ্ঞপ্তি : এসব তথ্য আর্থিক বাজারে কাজের জন্য বিনিয়োগ বা পরামর্শ হিসেবে কোনো সুপারিশ নয় এবং এগুলি একমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যের জন্য। আর্থিক বাজারে ট্রেডিং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর ফলে ডিপোজিটকৃত ফান্ডের পরিপূর্ণ ক্ষতি হতে পারে।
ফিরে যান ফিরে যান